মানুষের দেহের হাড় দিয়ে তৈরি হয়েছে বিছানা এবং মাথার খুলি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বালিশ। আর তাতেই শয়ন করেন এক ব্যক্তি। এমন ঘটনা শুনে চমকে যাবেন অনেকেই। কিন্তু এই ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশের দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যে। জানা গিয়েছে, বসে আরাম করার জন্য ওই বিছানা তৈরি করা হয়েছে যা মানুষের হাড়গোড় দিয়ে তৈরি। আর ওই বিছানায় যে ব্যক্তি ঘুমাতেন তিনি হলেন বলরাম কোট্যাধীশ।
পুলিশ এই তদন্তে নেমে হতবাক হয়েছে। কারণ বাড়ির ভিতর থেকে মিলেছে ২৫টি মাথার খুলি। জানা যাচ্ছে, ওই খুলিগুলি ওই ব্যক্তি বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতেন। তবে ওই খুলিগুলিকে ওই ব্যক্তি নিয়মিত পুজো করতেন। আর এই কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের রামানগর জেলার জোগনহল্লী গ্রামের একটি খামারবাড়িতে।
এই ঘটনার পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি মানুষের মাথার খুলি সংগ্রহ করে তা কালাজাদুর কাজে ব্যবহার করতেন। শিবরাত্রির দিন অমাবস্যা শেষ হতে ওই ব্যক্তি শ্মশানে যান এবং তখনই গ্রামবাসীরা পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়ি হাজির হলে বাড়িতে দাঁড়াতে পারছিল না বলে জানা যায়।
তার কারণ হিসেবে জানা যায়, বাড়ির ভিতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসছিল। এই তদন্তে নেমে বলরামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি হাড়গোড় দিয়ে তৈরি করা বিছানা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বলরাম কালাজাদুর কথা স্বীকার করেননি৷ খুলিতে দেখা গিয়েছে আরশিনা, জাফরান ও সাদা ডোরা লাগানো হতো। বাড়ির মধ্যে থাকা খুলিগুলি রীতিমতো পুজো করতো বলরাম নামক ওই ব্যক্তি, একথা সে অকপটে স্বীকার করলে হতবাক সকলে।
পুলিশ জানিয়েছে, বলরাম নামক ওই ব্যক্তির রয়েছে বিদাদি শিল্প এলাকায় কয়েকটি জমি রয়েছে। ওই জমিগুলি বেসরকারি কোম্পানিকে লিড দেওয়া রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ওই জমিতে রয়েছে শেড। সেই শেডের নাম শ্রী শ্মশান পীঠ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০টির বেশি হাড়।