কলকাতার যাওয়ায় ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে মেট্রোরেলের কথা প্রথমেই উঠে আসবে। বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ নয়, জোকা থেকে মাঝেরহাট, সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ, এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান, কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা রয়েছে। এবার এই পরিষেবকে আরও সুচারুরূপে পরিচালনা করার জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল রেল।
কারণ মেট্রোরেলে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ-এর সমস্যার জন্য হোঁচট খেতে হয়৷ নানান জায়গায় বিদ্যুৎ ট্রিপ করে যাওয়ায় সমস্যা হয় মেট্রোর। পরিষেবা বিঘ্নিত হয়৷ এর পাশাপাশি গ্রিড বিপর্যয়ে কারণে সমস্যায় পড়তে হয় মেট্রোকে। তাই এবার চালু হচ্ছে নতুন পরিষেবা। বিদ্যুৎ-এর পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তা রুখতে জুন মাসে তাইওয়ানের একটি সংস্থাকে কাজের জন্য বিশেষ ভার দেওয়া হয়েছে।
চুক্তির শর্ত মেনে ওই সংস্থা দেশেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপন্ন করবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ ওই পরিকল্পনার আওতায় প্রথম ধাপে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সেন্ট্রাল স্টেশনে প্রথম ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বিইএসএস) তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মোট চারটি বিইএসএস তৈরির কথা বলা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইনভার্টারের সমন্বয়ে মেট্রোর বিদ্যুৎ-এর বিকল্প তৈরি করা হবে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্যাটারিতে রাসায়নিকের পরিমাণ কম। তাই এটিকেই পরিবেশ বান্ধব বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এই কারণে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ৬.৪ মেগাওয়াটের শক্তি সঞ্চয় ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিদ্যুৎ-এর জোগান মিলবে। যদি কখনও সুরঙ্গের মধ্যে ট্রেন থমকে যায় তাহলে ৩০ কিমি ঘন্টায় ট্রেন চালিয়ে পরের স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া যাবে৷ বিদ্যুৎ-এর খরচ বিপুল হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।