দুই পরিবারের দেখাশোনার পর বিয়ের দিন ধার্য হয়৷ এরপর বিয়ে করতে এসে প্রথমে বর ও কনের মালাবদল হয়। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি। কনে জানান তিনি এই বিয়ে করবেন না। কনের প্রথম থেকে শর্ত ছিল পাত্রকে সরকারি চাকরি করতে হবে। সেইমতন পাত্র দেখাশোনা করার পর তিনি বিয়েতে রাজি হন। কিন্তু বিয়ের দিন পাত্রের সঙ্গে মালাবদল হওয়ার পর কনে জানতে পারেন পাত্র সরকারি চাকুরে নন।
আর তারপরই তিনি বিয়ের মন্ডপে বিয়ে ভেঙে দেন। ওই তরুণীর এমন সিদ্ধান্তে চমকে যান বিয়ের মন্ডপে উপস্থিত সকলে। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলায়। পাত্র পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুরের বাসিন্দা। পাত্রের পরিবারে কনৌজে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকেন।
পাত্র আগে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার থাকলেও পরে তিনি বেসরকারি একটি সংস্থায় যোগ দেন এবং সেখানে কাজ শুরু করেন। এই কথা পাত্রী জানতেন না৷ পাত্রের সঙ্গে মালাবদল হওয়ার পর তিনি এই কথা জানতে পারেন। এদিকে তরুণী বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পর সকলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
পাত্রের রয়েছে ২০ বিঘার একটি জমি এবং আরও ছয়টি জমির মালিকানা রয়েছে তার। তরুণী বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে পাত্রের বেতনের নথি দেখানো হয়৷ যাতে দেখা যায় পাত্র প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আয় করেন।
কিন্তু তাতেও রাজি হননি ওই তরুণী। অবশেষে দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়েতে যা খরচ হয়েছে তা দুই পরিবার সমান ভাগ করে তা মিটিয়ে দেবে। বিয়েতে এসে বৌ না নিয়েই বাড়ি ফিরে যায় পাত্র ও তার আত্মীয়স্বজন।