গরমকাল মানেই পাকা আম। গরমের মধ্যে এই একটি জিনিস বাঙালির পছন্দের তা হলো নানান রকম ফলের সমারোহ। গরমকালে বাজারে ছেয়ে যায় নানান স্বাদের ফলে। তেমনই একটি ফল হলো আম। আমের চাহিদা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে। আর এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অনেকসময় কার্বাইড দিয়ে আম পাকানো হয় এবং চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু কার্বাইড নিয়মিত আমের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করলে শরীরে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতের শীর্ষ খাদ্য নিয়ন্ত্রক FSAAI-এর তরফে ব্যবসায়ীদের এই রাসায়নিক ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্যালশিয়াম কার্বাইডে থাকে আর্সেনিক ও ফসফরাসের মতন ক্ষতিকর উপাদান। এর পাশাপাশি আমে কার্বাইড অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত করে। আর এসব উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে হতে পারে একাধিক শারীরিক জটিলতা।
যার মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, অত্যধিক তৃষ্ণা, বিরক্তি, দুর্বলতা, গিলতে সমস্যা, ত্বকের ঘা ও বমি। ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে যেকোনো ফলকে দ্রুততার সাহায্যে পাকানো হয়। আর তার ফলে আসল সময়ে পাকতে যতটা সময় লাগে থেকে অনেক কম সময়ে ফলকে পাকিয়ে তোলে কার্বাইড।
এই রাসায়নিক বহুদিন ধরে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্যালশিয়াম কার্বাইড বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়ে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি করে। এটি প্রকৃতিতে দাহ্য। তাই এগুলো ঠিকমতো ব্যবহার না করলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
কার্বাইড দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে জমতে থাকলে হাইপোক্সিয়া প্ররোচিত করে স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। আর তার ফলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘুম, স্মৃতিশক্তির বিলোপ ঘটা, সেরিব্রাল শোথ, হাতে ও পায়ে অসাড়তা, নিম্ন রক্তচাপ সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।