সবথেকে কঠিন কাজের মধ্যে একটি হলো শিশুকে খাওয়ানো। খাবার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন এবং সমানতালে তা না খাওয়ার বায়না ধরে অন্য কিছুর প্রতি মনোনিবেশ করছে শিশু। এই দৃশ্য যেনো সকলের চেনা৷ এমন দিনের পর দিন হতে থাকলে শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য পৌঁছায় না। এরফলে শরীরে নানান প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি থেকে যায়।
শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ না করার ফলে শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। তবে শিশুকে সঠিক মাত্রায় সবকিছু খাওয়ানোর উপায় কী তা অনেকেই জানেন না৷ চর এরফলে ধীরে ধীরে শিশুটি নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই মাত্র তিনটি উপদেশ মেনে চললে আপনার শিশুও থাকবে ভরপেট ও শরীরে প্রবেশ করবে সবরকম উপাদান।
প্রথম – একবারে অনেকটা না খাইয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ান। বারবার অল্প অল্প করে খেলে শিশুর ক্ষিদে তৈরি হয় ও অপুষ্টিতে ভুগবে না। ২ থেকে ৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর শিশুকে খাবার, ফল, স্যুপ, স্যান্ডউইচ খাওয়াতে পারেন।
দ্বিতীয় – অনেকসময় বাইরে বেরোলে শিশুরা মশলা তেল দেওয়া প্যাকেটজাতীয় খাবার খাওয়ার বায়না করে। অনেক বাবা মা তা মেনে নেন ও শিশুকে সেই ভাজাভুজি কিনে দেন। কিন্তু এই ভাজাভুজিতে কোনোরকম খাদ্যগুণ থাকে না৷ এগুলি খেলে শিশুর ক্ষিদে আরও মরে যায়। তাই রোজের খাবারে বৈচিত্র্য আনুন। দই বা দুধ দিলে তাতে ফলের কুঁচি মিশিয়ে দিন। ডিমসেদ্ধ দিলে তাতে সস দিয়ে আঁকিবুঁকি করে দিন। এতে শিশুর নতুন জিনিস দেখলে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
তৃতীয় – শিশুকে নিয়মিত খেলাধুলা করতে দিতে হবে। ঘরে বসে সে যেনো মোবাইলের প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে। প্রতিদিন বিকেলে খেলতে দিন। এতে শিশুর হজমশক্তি ভালো হয়।