ডানা’র গতিপথ বদল, সচল হল বিমান ও রেল পরিষেবা

‘ডানা’-র প্রভাবে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। তবুও গতকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রয়েছে প্রশাসনের। ওড়িশা সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে উপকূলীয় এলাকাগুলির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র থেকে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আছড়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় এবং তা হলে যাতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বিষয়ে সচেতন ছিল রাজ্য প্রশাসন।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এদিন শুক্রবার অনেকটাই শুনশান কলকাতার রাস্তাঘাট। ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোননি। অন্য দিনের তুলনায় এদিন রেলস্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। এর পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোতে অনেক কম যাত্রী এদিন দেখা গিয়েছে। যদিও পূর্ব রেলের তরফে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে শুক্রবার বেলা ১০টা পর্যন্ত কোনও ট্রেন শিয়ালদহ ডিভিশন থেকে ছাড়া হবে না।

এদিন শুক্রবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। যদিও শিয়ালদহ এবং বারাসাত থেকে হাসনাবাদ শাখাতেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে কোনও ট্রেন শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়নি। এর পাশাপাশি পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনেও একাধিক ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে হাওড়া ও শিয়ালদহের মেন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

এদিন শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ ও হাওড়াতে যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এছাড়া বাস স্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এর পাশাপাশি ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১৬ ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকে।

দু’টি বিমানবন্দরে পরিষেবা ফের শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে স্বাভাবিক করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ বিমান ও ভুবনেশ্বর থেকে ১০০ বিমান ওঠানামা করে। শুক্রবার দুই বিমানবন্দরে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আগেই যাত্রীদের ভীড় লক্ষ করা গিয়েছে।

error: Content is protected !!