পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির কিছু অংশ যেমন গিজার্ড, গলা, অন্ত্র ও ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া ও বিষাক্ত পদার্থ জমে থাকতে পারে। তাই এসব অংশ এড়িয়ে চলুন।
মুরগির মাংস প্রোটিনসমৃদ্ধ ও সহজলভ্য বলে অনেকেই এটি নিয়মিত খাবারে রাখেন। লাল মাংসের তুলনায় এটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগির সব অংশ খাওয়া সমানভাবে নিরাপদ নয়।

পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা সতর্ক করে বলেছেন, মুরগির কিছু অংশে ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও বিষাক্ত পদার্থ জমে থাকতে পারে যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
গিজার্ড (পাকস্থলী): এতে ছোট কণা ও ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গলা: ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র হতে পারে। সঠিকভাবে রান্না না করলে জীবাণু থেকে যেতে পারে।
মাথা: কীটনাশক ও বিষাক্ত পদার্থ জমার সম্ভাবনা থাকে, যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
পা: মাটির সংস্পর্শে থাকার ফলে এতে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে। দূষণের ঝুঁকি বেশি।

অন্ত্র: এতে অসংখ্য জীবাণু থাকে, যা পরিষ্কার করলেও পুরোপুরি দূর করা যায় না। খাদ্যে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বেশি।
অস্থিমজ্জা: সঠিকভাবে রান্না না হলে রক্ত থেকে যেতে পারে, যা ক্রস-দূষণের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফুসফুস: এতে এমন পরজীবী থাকতে পারে যা তাপে নষ্ট হয় না। খাওয়া বিপজ্জনক।
হার্ট: প্রোটিনসমৃদ্ধ হলেও এতে স্ট্রেস হরমোনের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে, যা শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মুরগি খাওয়ার আগে এর অংশ বাছাইয়ে সচেতন হোন এবং প্রতিটি অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার ও সেদ্ধ করুন। নিরাপদ খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে সুস্থ জীবনের মূলমন্ত্র।
খাদ্য
Recipe: চিকেনকেও হার মানাবে, অল্প সময়ে তৈরী করুন এগ মাঞ্চুরিয়ান
#Chicken #HealthTips #Nutrition #FoodSafety #ChickenSideEffects
