Narendra Modi: সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে বলা হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে সাত দফায় ভোট সম্পন্ন হবে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের জমিকে শক্ত করতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছে তারা। এরই মাঝে গত ১৭ই মার্চ মুম্বাইয়ে হয়ে গেলো শিবাজি পার্কে ইন্ডিয়া জোটের জনসভা।
কংগ্রেস জানিয়েছে, এটি তাদের ‘শক্তি’র বিরুদ্ধে লড়াই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সেই জনসভা থেকে এমন বক্তব্য পেশ করেছেন। এদিন ১৮ই মার্চ তেলঙ্গানার জাগতিয়ালের নির্বাচনী জনসভা ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির। এই জনসভা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী সেই জনসভা থেকে বলেন, দেশের প্রতিটি মা ও মেয়ে শক্তির রূপ। তাই শক্তির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর এই চ্যালেঞ্জকে তিনি গ্রহণ করলেন। তিনি বলেছেন, “ইন্ডিয়া জোট তাদের ইস্তেহারে বলেছে, তাদের লড়াই ‘শক্তি’-র বিরুদ্ধে। আমার কাছে প্রতিটি মা, প্রতিটি মেয়ে, প্রতিটি বোন ‘শক্তি’র রূপ। আমি তাদের ‘শক্তি’ রূপে পুজো করি। আমি ভারত মাতার পূজারী। তাদের ইস্তেহারে ‘শক্তি’কে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আমি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। শক্তির রক্ষায় আমি প্রাণ বাজি রাখতে রাজি।”
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চাঁদের মাটিতে যেখানে চন্দ্রযান-৩ স্পর্শ করেছে, সেই জায়গাটির নামও ‘শিবশক্তি’ রাখা হয়েছে। কেউ কখনও শক্তিকে ধ্বংস করতে পারে না। কাজেই কেউ কী করে শক্তিকে ধ্বংসের কথা বলে, তা ভেবেই আমি বিস্মিত।” তিনি আরও বলেন, “লড়াইটা ‘শক্তি’ ধ্বংস করতে চায় যারা তাদের সঙ্গে উপাসকদের। আগামী ৪ জুন মোকাবিলা হবে।”
গতকাল রবিবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র পরিসমাপ্তি ঘটেছে এই জনসভার মধ্যে দিয়ে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা। জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, “হিন্দুধর্মে ‘শক্তি’ শব্দটি রয়েছে। আমরা কোনও ব্যক্তি নয় বরং এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। প্রশ্ন হল, সেই শক্তিটি কী? ইভিএম এবং ইডি, সিবিআই এবং আয়কর বিভাগের মতো দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে রাজার যে আত্মাকে দেখা যাচ্ছে, সেটাই হল এই শক্তি। মোদী আসলে মুখোশ, নেপথ্য শক্তির হয়ে কাজ করেন তিনি।” সবকিছু মিলিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলি দেশের নানান প্রান্তে প্রচার ক্রিয়ায়