ভরা লকডাউনের মাঝে টলি পাড়ার একটি খবর মিডিয়া ছেয়ে গেলো। টলি পাড়ার অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনলেন। তিনি জানান, তার স্বামী কাঞ্চন মল্লিক পরকীয়ার সম্পর্কে আবদ্ধ। তিনি এও জানান, কাঞ্চন টলি পাড়ার ছোটো পর্দার অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। পিঙ্কি এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেও কাঞ্চন তা বেমালুম অস্বীকার করেন।
এরপর মিডিয়ার তরফে শ্রীময়ীকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও অস্বীকার করেন এবং জানান, কাঞ্চন তার দাদা। তাদের সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সেই অস্বীকার করা বান্ধবীকেই সম্প্রতি ধুমধাম করে বিয়ে করলেন কাঞ্চন। গত ১০ই জানুয়ারি অবশেষে দীর্ঘ সংসার জীবনের ইতি টেনে দ্বিতীয় পক্ষের বিয়ে থেকে আইনি ভাবে বিচ্ছেদ পান কাঞ্চন। দ্বিতীয় পক্ষে পিঙ্কি ও কাঞ্চনের ছেলে ওশের ভবিষ্যতের জন্য ৫৬ লক্ষ টাকাও দেন কাঞ্চন।
এরপর গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে তৃতীয়বার আইনিভাবে বাঁধা পড়েন কাঞ্চন মল্লিক। তিনি বিয়ে অবশেষে বিয়ে করেন শ্রীময়ীকে। ২রা মার্চ মহা সমারোহে ধুমধাম করে বিয়েও সারেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। রিসেপশনে টলি পাড়ার একাংশ উপস্থিতও ছিলেন। এদিকে ৫৩ বছরের এক ব্যক্তি ২৬ বছরের একজন তরুণীকে বিয়ে করছেন এটিও স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি সামাজিক মাধ্যম।
তাই নবদম্পতির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হাসিঠাট্টা শুরু হয়েছে। যদিও কাঞ্চন এই বিষয়ে বিশেষ প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, “লোকের হিংসা হচ্ছে। ৫৩ বছরের কেউ ২৬ বছরের একজন মেয়েকে বিয়ে করতে পারে এটি কেউ মেনে নিতে পারছে না।”
যদিও এইসব ঘটনার পর পিঙ্কি ও তার ছেলে ওশ কাঞ্চনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ওশ তার মা পিঙ্কিকে জানিয়েছেন, “বাবাকে আশীর্বাদ করো।” পিঙ্কি এই বিষয়ে জানান, “আমার ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, শেষমেশ দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একে-অপরকে স্বীকার করেছেন এবং বিষয়টাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা খুব দরকার ছিল। আমি আশা করি কাঞ্চন এই বিয়েটায় যেন সুখী হয়।” যদিও পিঙ্কি বন্ধুমহল ধমক দিয়ে তাকে জানিয়েছে, “ভুলে গেলি কাঞ্চন তোর সঙ্গে কি করেছে?”