প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতোন তার পিসি-পিসেমশাইও অঙ্গদানের পথে হেঁটেছেন। সেই পথেই হাঁটতে চান অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে জনজোয়ারে ভেসেছে কলকাতার রাস্তা।
যার দ্বারা এটাই স্পষ্ট হয়েছে মানুষের মনে কী পরিমাণ শ্রদ্ধা রয়েছে বুদ্ধদেববাবুর জন্য। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী শকট কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে ওঁর গাড়ির কাছে পৌঁছলাম।’
অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল জীবিত অবস্থায় কেমন মানুষ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। আর প্রচণ্ড রসিক। কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। ওঁর আমলে বেশ কয়েক বার মুখোমুখি হয়েছি। যত বার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।’
একইসাথে তিনি জানান, তার বিয়ের সময় আশীর্বাদ করতে এসেছিলেন তিনি। এমনকি তার ছেলে যখন আমেরিকায় জন্ম হয়েছিল তা শুনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘একেবারে বাইরে গিয়ে ছেলের জন্ম?’ আসলে ঋতুর অভিনয় ভীষণ পছন্দ করতেন বুদ্ধদেববাবু। বিশেষ করে ‘আলো’ এবং ‘পারমিতার একদিন’ সিনেমা দুটি ছিল তার ভীষণ প্রিয়।
একই সাথে ঋতু জানিয়েছেন মৃত্যুর পর বুদ্ধদেববাবুর অত্যন্ত সুন্দর চেতনার প্রকাশ ঘটেছে তার দেহদানের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমার পিসিমা, পিসেমশাই একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটবো। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকবো চিরকাল।’
আরও পড়ুন,
*প্রথম সন্তান আসতে চলেছে! হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেত্রী প্রীতি