গরমে সাময়িক স্বস্তি দিতে সকলের ঘরে এখন যে জিনসটি অনবরত ঘুরে চলেছে তা হলো সিলিং ফ্যান। এর পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার ও বৈদ্যুতিক কুলারের ব্যবহার হলেও সিলিং ফ্যানের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়। গরমের দাপটে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। প্রতিদিন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপর যাওয়াআসা করছে। আর তাই এই গরম থেকে বাঁচতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ফ্যান।
সারাদিন ফ্যান ঘুরতে থাকলে বিদ্যুৎ-এর বিলও যে লাগামছাড়া হবে তাতে সন্দেহ নেই। গরমের দাপট যত বাড়ছে ততই জরুরি হয়ে উঠছে ফ্যানের ব্যবহার। কিন্তু অনেকেই বিদ্যুৎ-এর বিল বেশি আসার ভয়ে ফ্যানের গতি কমিয়ে দেন। ৫ গতি থেকে কেউ কেউ ৩ কিংবা ৪-এ করে দেন ফ্যানের গতি৷
আর এমন ভাবে অনেকেই মনে করেন ফ্যানের গতি কমালে কম আসবে বিদ্যুৎ-এর বিল। কিন্তু আসলেই কি তাই? এর উত্তর হল ‘না’। আপনি সিলিং ফ্যানের গতি কমালেও যে বিল আসবে বাড়ালেও একই বিল আসবে। তার কারণ সাধারণত যে রেগুলেটরের মাধ্যমে আমরা ফ্যানের গতি অদলবদল করি তা গতি কমাতেই সাহায্য করে।
ফ্যানের গতির সঙ্গে ওই রেগুলেটরের বিদ্যুৎ-এর খরচের কোনো সম্পর্ক নেই। এই রেগুলেটর ফ্যানের গতিকে কমিয়ে দেয় কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে না। তবে বিদ্যুৎ-এর খরচ কমানোর জন্য আপনি এক বিশেষ ধরনের রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। সেই রেগুলেটরে বিদ্যুৎ-এর বিল কম আসবে। তার জন্য ব্যবহার করতে হবে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর। এই রেগুলেটর বিশেষ ধরনের নিয়ন্ত্রক।
যা বিদ্যুৎ-এর খরচ নিয়ন্ত্রণ করে। এই রেগুলেটরের আকৃতি সাধারণ রেগুলেটরের চেয়ে অনেকটা বড় হয়। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। ইলেকট্রনিক রেগুলেটরগুলি সাধারণ রেগুলেটরের চেয়ে যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই তা সকলে ব্যবহার করেন না৷ যদিও বাজার থেকে কিনে এনে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন,
*কাককে এই কাজ করতে দেখলেই অর্থ লাভ, জানুন শুভ ও অশুভ লক্ষ্মণ
*প্রচন্ড গরমে ভিজে কাপড় ঘর কুল রাখবে