বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০ কোটি মহিলার রক্তে শর্করার আধিক্য রয়েছে। আর এটিই ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে দু’জন মহিলার রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি। তবে ডায়াবেটিস হওয়ার রয়েছে একাধিক কারণ।
ডায়াবেটিস হয় তার অন্যতম কারণ অসংযম জীবনযাপন এবং উচ্চ ক্যালোরি ডায়েট। আর এরফলে ওজন বেড়ে যায় শরীরের। এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের (পিসিও) প্রবণতা। আর এই প্রবণতা বাড়তে থাকলে টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে যায়।
সমীক্ষা বলছে, কয়েক বছর আগে ১০০ জন গর্ভবতীর মধ্যে ৪ জনের রক্তে শর্করার মাত্রার আধিক্য মিলত। কিন্তু বর্তমানে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। গর্ভে সন্তান এলে এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। আর এরফলে গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে। এই কারণে রক্তে শর্করার আধিক্য যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরী।
সুষম ডায়েট – অনেকসময় সাংসারিক চাপ ও অফিসের কর্মব্যস্ততার জন্য নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না মহিলারা। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে শাকসবজি, ফাইবার জাতীয় খাবার। এর পাশাপাশি মরশুমের ফল প্রতিদিন একটি বা দু’টি করে খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে ওটস্, ডালিয়া বা কিনোয়া খেতে পারেন৷ এর ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হবে না।
শরীরচর্চা – প্রতিদিন যদি এক বা আধঘন্টা হাঁটা যায় তবে ডায়াবেটিস জব্দ হতে বাধ্য। যদি জিমে গিয়ে ভারী ব্যয়াম করার সময় বা সুবিধা না থাকে তবে বাড়িতে অভিজ্ঞ ট্রেনারের কাছে ব্যয়ামের পরামর্শ নিয়ে তা প্রতিদিন করলে অনেক লাভ পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ধূমপান – অনেকেই জানেন না ডায়াবেটিস হওয়ার আরেকটি কারণ হলো ধূমপান। টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সঙ্গে কিডনির নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।
মানসিক চাপ – মানসিক চাপ ও মানসিক সমস্যা শরীরে হরমোনের ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে তা ডায়াবেটিসে পরিণত হতে পারে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা – একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরী। ৩০ পেরোলে বছরে অন্তত একবার রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করানো উচিত। এর সঙ্গে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক আছে কিনা।