শরীরের ব্যাথা উধাও হবে, রোজ সকালে খান এই পানীয়, ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মক্ষম অস্ত্র

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখার সহজ উপায়

আজ আমরা কথা বলবো স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলেই আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। আমরা অনেকেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নই। বিশেষ করে বাঙালিরা স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকেন না। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমাতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। পদ্ধতি গুলো মেনে চললে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যাবে। এবং শরীরে যে বিভিন্ন রকম ব্যথা দেখা যায় তা দেখা যাবে না। অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সেই ব্যথা সহ্য করা খুবই কষ্টকর। খুব প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে অথবা মধ্যপানের অভ্যাস থেকেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতিকালে এই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একেক জন করে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগী থাকেন। তবে আপনার বয়সের সাথে সাথেই যে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হবে এমনটা নয়। তবে এই রোগ সারানোর জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা এবং পদ্ধতি রয়েছে। যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ভীষণভাবে উপকারী।

আদা চা

যেমন আদা চা, মেথির ভেজানো জল, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং লেবুর জল ইত্যাদি শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। লেবুর জলে ভিটামিন সি রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

মেথি ভেজানো জল খান

ডায়াবেটিসে রোগীদের সুগার লেভেলকে বশে রাখতে মেথি ভেজানো জল খান। এই পানীয় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেথির মধ্যে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনের মতো বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। দেহের ওজন কমাতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মেথি ভেজানো জল।

আমলকির রস

এছাড়া রয়েছে আমলকির রস শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলের সাথে সামান্য পরিমাণ আমলকির রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। রোজ সকালে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কম হবে এবং শরীরে বিভিন্ন ব্যথা সেরে যাবে। এই ঘরোয়া টোটকা মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন,
*বাড়িতে তুলসী গাছে মঞ্জরী এলে ৫ কাজ করুন, টাকার বৃষ্টি হবে!