বসন্তের আগমন ঘটেছে অনেক দিন আগেই। তারই মাঝে রঙের উৎসব পালিত হল গোটা বঙ্গ জুড়ে। আর এই উৎসবে মেতে উঠল গোটা বঙ্গ। তবে বাংলার মানুষের যেমন বারো মাসে তেরো পার্বণ তেমনই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে খাওয়াদাওয়া। দুর্গা পুজো হোক কিংবা দোল। সবরকম উৎসবে বাঙালির ভূরিভোজ থাকবেই। প্রতিটি উৎসবে তাই টলি পাড়ার রন্ধনশিল্পী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও চলে নানান খাবারের আয়োজন।
দুর্গাপুজার সময় মাছ মাংস হলেও দোলের সময় তার বাড়িতে একেবারে নিরামিষ রান্না হয়৷ গোপাল ও রাধামাধবকে দেওয়া হয় চালের পায়েস ও ঠাকুরের জন্য থাকে ক্ষীরের মিষ্টি ও মালপোয়ার ভোগ। দোল উৎসবে সুদীপা কাটান তার জামাইবাবুর ফার্ম হাউসে। সেখানে আয়োজন করা হয় এলাহি খাবারের। এবারের আয়োজনের জন্য পাকিস্তান থেকে আসছেন লোক। এবারের মেনুতে রয়েছে কাচ্চি বিরিয়ানি।
এবার সুদীপা নিজেও বাকিদের দোলের দিন হেঁসেলের দুর্দান্ত রেসিপি বলে দিলেন। দোলের দিন তাহলে ভূরিভোজ করতে বানিয়ে ফেলুন সুদীপার দুর্দান্ত রেসিপি।
আমাদা দিয়ে মুগডাল – প্রথমে মুগডাল কড়াইতে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এরপর সেটি কুকারে দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হওয়ার পর কড়াই বসিয়ে তাতে জিরে, কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো আর আমাদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর সিদ্ধ করে রাখা ডাল নুন ও মিষ্টি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। নামানোর আগে সামান্য ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন। বাসমতি চাল ও আলুভাজা থাকলে এই ডাল দেবে স্বর্গীয় অনুভূতি।
সাদামাঠা মাংস – পাঁঠার মাংস রান্না করতে বেশ সময় লাগে। তবে চটজলদি তৈরি করতে বানিয়ে ফেলুন সাদামাঠা মাংস। তার জন্য প্রথমে যতটা পরিমাণ মাংস তার অর্ধেক পরিমাণ পিঁয়াজ কেটে সেটি ভালো করে নুন দিয়ে চটকে জল বের করে নিতে হবে। এরপর মাংসের সঙ্গে মেখে তাতে হলুদ গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, ধনের গুঁড়ো, নুন, সামান্য চিনি, সর্ষের দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
এরপর তাতে রসুন বাটা, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে মেখে ফ্রীজে রেকে দিন। বেশ কয়েক ঘন্টা রাখার পর ফ্রীজ থেকে বের করে আগুনে প্রেসার কুকার চাপিয়ে তাতে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে এরপর মশলা দিয়ে মেখে রাখা মাংস দিয়ে দিতে হবে। এরপর কুকার বন্ধ করে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে কুকারের ঢাকনা খুলে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করতে হবে। এরপর মাংস মাখোমাখো হয়ে এলে তাতে সামান্য ঘি ও ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে দিন।
চাটনি – ডাল ও মাংস খাওয়ার পর শেষ পাত একটু চাটনি না হলে ভালো লাগে না। তাই তেঁতুলের ক্কাথ বের করে রাখতে হবে। এরপর কড়াই বসিয়ে তাতে সর্ষের তেল দিয়ে তার মধ্যে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে টমেটো দিতে হবে। এরপর তার মধ্যে খেজুর, আমসত্ত্ব দিতে পারেন। এরপর সামান্য লবন ও শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে তাতে জল দিয়ে ঢেকে রাখুন। টমেটো সহ বাকি জিনিস সিদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে তেঁতুলের ক্কাথ, খেজুর ও ভেলি গুড় দিতে হবে।