মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আন্ডারে যেসব বেসরকারি স্কুল গুলো রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষার্থীর পরিমাণ খুবই কম। আর্থিক দিক দিয়ে অনুন্নত এরকম বেসরকারি স্কুল উপরে রয়েছে, এমনটাই জানা গেছে। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন বেসরকারি স্কুলগুলোতে এবার থেকে ফ্রিতে বই দেওয়া হবে। এবং যে সমস্ত স্কুলগুলো বোর্ডের অধীনে রয়েছে তারা অনলাইনে আবেদন করে বই কিনতে পারবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে বলে, বেসরকারি স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যাও খুবই কম এবং বইয়ের অভাবে সেখানে পড়াশোনা ঠিকঠাক ভাবে চলছে না, সেই কারণে এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল যতই লক্ষ লক্ষ থাকুক, সেখানে যদি আর্থিক অভাবে পড়াশোনাটাই ঠিক ঠাক মতো না হয় তাহলে কী লাভ?
আগে পিছে সবকিছু ভেবেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বেসরকারি স্কুল গুলোতে বিনা মূল্যে বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষাকর্মী সমিতির একজন বিশেষ নেতা ও মাধ্যমিক শিক্ষক অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, “রাজ্যের স্কুলগুলি এই মুহূর্তে শিক্ষকপদ শূন্য”, এই অবস্থায় বেসরকারি স্কুলগুলোকে সাহায্য করাটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি স্কুলগুলো থেকে বেসরকারি স্কুলগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে তাদের দাবি।
অনিমেষ বাবু এটা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বললেন রাজ্য সরকারের প্রথম সরকারি স্কুলগুলোকে বেশি করে সাহায্য করা প্রয়োজন। এটা নিয়ে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে বইয়ের দাম কম করা।