অবশেষে প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন রাশিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘদিন ধরে এই বিরোধী নেতার মৃত্যু নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাশিয়া। যদিও সেসব কিছুর প্রভাব পড়েনি সেখানকার নির্বাচনে।
সোমবার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। যেখানে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের জন্য ফের রাষ্ট্রপতির আসনে বসেছেন পুতিন। এরপরেই তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের। সেখানে তিনি বিরোধী নেতার মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেন, জানান ‘এমনটা হয়ে থাকে।’
এদিন তিনি বলেন, ‘বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে নাভালনির মুক্তির প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই ওর মৃত্যু হয়। এগুলো হয়েই থাকে। এখানে আপনার হাতে তো কিছু নেই। আমাদের কারোরই কিছু করার নেই। এটাই জীবন।’ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী নাভালনির মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল রুশ জেল কর্তৃপক্ষ।
যদিও বেশ কিছু দেশের তরফ থেকে বলা হয় পুতিনই তার মৃত্যুর কারণ। এমনকি এই বন্দী বিনিময়ের বিষয় নিয়ে নাভালনির এক বন্ধু বলেন, ‘বন্দী বিনিময়ে খুব তাড়াতাড়ি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন নাভালনি। কিন্তু নাভালনি যে জেলের বাইরে থাকবে এই ব্যাপারটা মোটেই সহ্য হয়নি পুতিনের। তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
যদিও এই বিষয় নিয়ে এতোদিন পর্যন্ত কোনো কথাই বলেননি পুতিন। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর তিনি এই বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য, বিষয় হলো রাশিয়ায় এই প্রথম নয় এর আগেও পুতিন বিরোধী নেতাদের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটেছে। সেই তালিকাতেই এবার নাম উঠলো নাভালনির।