আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। সকলেই দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। প্রতিটি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি যতদিন না বিচার পাচ্ছেন ততদিন তাদের কর্মবিরতি চলবে। মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনের দিকে বারংবার উঠেছে আঙুল। এবার এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেন, “একটা মেয়েকে ধর্ষণ করল, খুন করল আর হাসপাতালের মধ্যে কেউ জানতেই পারল না। একটা ছেলে হাসপাতালে ঢুকে এই সব ঘটিয়ে গেল, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। আমার মনে হচ্ছে এর মধ্যে গভীর চক্রান্ত আছে। এতগুলো ডাক্তার রয়েছেন, তারা কেউ দেখতে পেলেন না, কেউ জানতে পারলেন না। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ঢুকে নৃশংসভাবে খুন করে দিয়ে চলে গেল। এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে।”
তিনি আরও বলেন, “কারা আসল দোষী। আমরা সব দোষীর শাস্তি চাই। আমার মনে হয়েছে মেয়েটি গভীর চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। বাইরের লোক কেউ নেই। যারা আছে সবাই ভেতরের লোক। যারা আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। কলকাতা পুলিশও চেষ্টা করেছিল। এখন সিবিআইয়ের হাতে চলে গেছে। আমি চাই এটার সুরাহা হোক। দোষীরা শাস্তি পাক।”
এদিকে সিবিআই এই তদন্তে কত দূর এগিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি। তবে এই তদন্তের জন্য একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আর জি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তবে তার কাছ থেকে কিছু জানা গিয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই প্রকাশ্যে আনেনি সিবিআই।
এরই মাঝে সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর এই বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গতকাল সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে সকাল সকাল হাজির হয় সিবিআই। যদিও সিবিআই হাজির হওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ ১ ঘন্টারও বেশি পরে দরজা খোলেন। সেদিন প্রায় ১০ ঘন্টা পর সিবিআই-এর আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন,
*মহামিছিলের ডাক সংগীতশিল্পী শোভন গাঙ্গুলীর! কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা, কবে? কখন?