গরমের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। গরমের দাপট কমার উপায় নেই। কিন্তু সাময়িক শান্তির জন্য সকলেই কিছু না কিছু উপায় খুঁজে বের করেন। এই ব্যাপক গরমে ঠান্ডা জল আমাদের ক্ষনিকের আরাম দেয়। তাই আমরা গলা ভেজানোর জন্য ঠান্ডা জল খুঁজি। অনেকেই এই ঠান্ডা জল খাওয়ার জন্য ফ্রিজের জলকে বেছে নেন। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল নিয়ে তা ঢকঢক করে পান করেন।
কিন্তু ফ্রিজের জল খেয়ে অজান্তে নিজের কোনো ক্ষতি করছেন না তো। অনেককাল আগে সভ্যতা যখন এত উন্নত হয়নি তখন কিন্তু ঘরে ঘরে ফ্রিজ ছিল না। কিন্তু সেইসময় মানুষ ঠান্ডা জল পান করে তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলতো। সেইসময় কাউকেই ঠান্ডা জল খাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়নি। কারণ সেইসময় মানুষ মাটির কলসিতে জল রাখতো। আর সেই জল দিনভর ঠান্ডা থাকতো।
আর সেই জলের কলসিকে বলা হতো ‘কুঁজো’। একটি লালচে ধরনের কুঁজো ছিল এবং আরেকটি ছিল কালচে। তবে লালচে কুঁজো বেশি ব্যবহার হতো। বর্তমানেও অনেকেই মাটির কলসিতে বা মাটির কুঁজোতে জল রাখছেন। তার ফলে অনেকক্ষণ জল ঠান্ডা থাকছে। তবে মাটির পাত্রে থাকা জল খেলে শরীরেও কিছু উপকার হয়।
মাটির পাত্রে রাখা জল গরম কালে খাবার হজম করতে সহায়তা করে।
পৌষ্টিকতন্ত্রে খাবার হজমের জন্য একাধিক অ্যাসিড তৈরি হয়৷ মাটির পাত্রে জল রাখলে ক্ষার জাতীয় উপাদানের পরিমান বৃদ্ধি পায়। মাটির পাত্রে রাখা জল খেলে পেটের অ্যাসিড প্রশমিত হয়।
মাটির পাত্রে জল খেলে শরীরে তৃপ্তি আসে। অপরদিকে ফ্রিজের জল খেলে গলায় ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ও অনেকবেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাটির পাত্রে জল খাওয়া নিরাপদ।
মাটির পাত্রে জল রাখলল তাতে একাধিক খনিজ উপাদান মেশে। তার ফলে আমাদের শরীরে যে খনিজের অভাব ঘটে তা পূরণ হয়। ভালো থাকে বিপাকক্রিয়া।
মাটির পাত্রে জল রাখলে তা নিজে থেকেই পরিশ্রুত হয়।
অনেকসময় বাইরে রোদে বেরোলে অনেকের হিট স্ট্রোক হয়। মাথা ঘোরে, বমি বমি ভাব আসে। বাড়ি ফিরে মাটির পাত্রে থাকা জল খেলে শরীরে স্বস্তি মেলে। মাটির পাত্রে থাকা জলে মিশে যাওয়া খনিজ, ভিটামিন যা শরীরকে সতেজ রাখে।
মাটির কুঁজো ব্যবহারের নিয়ম-
মাটির কুঁজোর গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে রাখলে মাটির পাত্রের জল ঠান্ডা থাকে।
মাটির পাত্রে জলের মধ্যে অল্প কর্পূর মিশিয়ে রাখলে জলের স্বাদ বাড়ে।
মাটির কুঁজো একটা কিছুর উপরে রাখলে ঝুঁকে নেওয়ার সমস্যা থাকে না।
আরও পড়ুন,
*পরপুরুষের প্রতি ৫টি কারণে আকৃষ্ট হয় তরুণীরা
*এসি কম চালিয়েও ঘর কনকনে ঠান্ডা হবে, খরচও কমবে