আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এরই মাঝে তিনি এক বার্তা দিলেন অপর দেশগুলির উদ্দেশ্যে। তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্য মুদ্রা ব্যবহার করলে বিপদ বাড়বে৷ আর এই সমস্যা হবে ব্রিকস্-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। আর এই তালিকায় রয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ আরও একাধিক দেশ।
অক্টোবর মাসে ব্রিকস্-এর সদস্য দেশগুলি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্য দেশের মুদ্রার উপর জোর দেয়। আর এরপরই সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্পের তরফে এই হুমকি দেওয়া হয় অন্য দেশগুলির প্রতি। তিনি বলেন, আমেরিকান ডলারের বদলে যদি অন্য কোনও মুদ্রা ব্যবহার করা হয় তবে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে। আর এরপরই নড়েচড়ে বসে দেশগুলি। ট্রাম্পের কথায়, ব্রিকস্-এর সদস্য দেশগুলি যতই অন্য দেশের মুদ্রাকে প্রচলন করার চেষ্টা করুক, তারা আন্তর্জাতিক বাজারে আমেরিকার ডলারকে টেক্কা দিতে পারবে না।
ট্রাম্প সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমেরিকান ডলার থেকে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি যে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তা দাঁড়িয়ে দেখার দিন শেষ। এই দেশগুলিকে কথা দিতে হবে যে, তারা কোনও দিন নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না, আমেরিকান ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনও দেশের মুদ্রা ব্যবহার করবে না। তারা তা যদি করে, তা হলে আমেরিকায় কিছু বিক্রি করতে চাইলে সেই পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে।”
এরপরেও যদি কোনও দেশ আমেরিকার ডলারকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে তবে সেই দেশকে বিদায় জানাবে আমেরিকা। ওই দেশ আর আমেরিকার সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। অক্টোবর মাসে কাজানে বৈঠক বসে ব্রিকস্-এর সদস্য দেশগুলির।
সেখানে তারা আলোচনা করে আমেরিকান ডলারের পরিবর্তে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের জোর দেওয়ার কথা জানায়৷ আর এরপরই আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর তা হয়তো আর বাস্তবে সম্ভব হবে না। এর পাশাপাশি ভারতের তরফেও জানানো হয়, তারা আমেরিকার ডলার ব্যবহারের পক্ষে রয়েছে।