ডুবোজাহাজ, বিমানবাহী রণতরী, পাক-চিনের কাঁপুনি ধরাতে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রভান্ডারে আরও কি কি?

kmc 20240930 212156 43Zqrbky1Q

আমরা সকলেই জানি আমাদের ভারতবর্ষের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এবং বর্তমানে চীনের সঙ্গেও আমাদের ভারতবর্ষের সম্পর্ক ভালো নয়। দুই শত্রু দেশ চীন ও পাকিস্তান। তাই পাকিস্তান ও চীনের থেকে বাঁচার জন্য আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি আমাদের ভারতের ফৌজ তথা নৌ সেনাদের কেউ শক্তিশালী করে চলেছেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের কাশ্মীর নিয়ে ঝামেলা অনেক আগে থেকেই চলছে তাই কাশ্মীরে সবসময় আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকে কোনভাবেই যাতে কোন হামলা না হয় আর আমাদের ভারতবর্ষের মানুষ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে একদমই রাজি নয়। আমাদের ভারতের সাথে চীন ও পাকিস্তানের অনেক বিষয়ে শত্রুতামি রয়েছে।

চীন ও পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখেই আমাদের জলফৌজে আসতে চলেছে আরও ডুবোজাহাজ, বিমানবাহী রণতরী ও ফ্রিগেট। আমাদের নৌ সেনাদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কাছে শত্রু দেশের সাথে লড়ার জন্য আমাদের শক্তি ভান্ডারে অনেক যন্ত্র রয়েছে যেমন ভারতীয় নৌসেনার কাছে রয়েছে বিমানবাহী রনতরি। উভচর মালবাহী ডক, ল্যান্ডিং শিপ ট্যাঙ্কস, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, পরমাণু শক্তিধর ডুবোজাহাজ, ডিজ়েল চালিত ডুবোজাহাজ, করভেট, লার্জ অফসোর ভেসেল, ফ্লিট ট্যাঙ্কার এবং আনুষঙ্গিক কিছু জলযান রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শত্রুদেরকে পরাজিত করতে বা শত্রুঘাটিকে নিমেষে ধ্বংস করে দিতে এগুলো যথেষ্ট।

একাংশের দাবি পাকিস্তান অথবা চীনের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ভারতের শুধুমাত্র অরুণাচল প্রদেশ সিকিম লাদাকে এই যুদ্ধ সীমিত থাকবে না এটা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ছড়াবে তাই নৌ সেনাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে নৌ সেনাকে সাজিয়ে দিচ্ছে নয়া দিল্লী। ২০১৩ সালে নৌ সেনায় কর্মজীবন শুরু করে আইএনএস বিক্রমাদিত্য। ৩৬ টি যুদ্ধবিমান নিয়ে জলে ভাসতো সক্ষম। আগামী দিনে আরো একটি বিমানবাহীর যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে নয়া দিল্লির।

২০২৩ সালের গ্লোবাল ন্যাভাল পাওয়ার র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ভারতের কাছে রয়েছে সপ্তম বৃহত্তম নৌ সেনাবাহিনী। বর্তমানে জল ফৌজের নিরিখে আমেরিকাকে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে চীন। বেজিনের কাছে রয়েছে ৭৩০টি যুদ্ধজাহাত এবং ৫৯টি ডুবোজাহাজ।