জেনে নিন এক মহিলা রেলকর্মীর অনবদ্য জীবন কাহিনী

kmc 20240926 170255 KG81MrFo2Y

ভারতীয় রেলকে সচল রাখতে তাদের কর্মীরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই ভারতীয় রেলের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে ভারতীয় রেলকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এই কাজে যেমন পুরুষের অবদান রয়েছে তেমনই রয়েছে মহিলাদের। দশকের পর দশক ধরে রেলকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন মহিলা রেলকর্মীরাও। এই প্রসঙ্গে এক মহিলা রেলকর্মীর গল্প নিয়ে বিশেষ বিবৃতি রেলের।

ভারতীয় রেলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মহিলা রেলকর্মীরা একটি চালিকা শক্তি রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ যার মধ্যে রয়েছে লোকো পাইলট, স্টেশন মাস্টার, ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ থেকে প্রশাসনিক সমস্ত কাজে মহিলারা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, আত্মবিশ্বাস, অতুলনীয় পেশাদারিত্ব যা প্রমাণ করে মেয়ে এবং ছেলেদের মধ্যে বর্তমানে আর কোনো বিভেদ নেই।

আর তাই নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতীয় রেল লিঙ্গ সমতার প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। এর পাশাপাশি এক উজ্জ্বল পথ প্রশস্ত করেছে যার ফলে নারীরা তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে রেলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের পেশার পথকে আরও উন্নত করবেন।

তেমনই একজন মহিলা রেলকর্মী হলেন মিসেস রেখা সিং। তার ভারতীয় রেলের প্রতি অসাধারণ পেশাদারিত্ব সকলকে অবাক করে। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি হাওড়া ডিভিশনের একজন ট্রাভেলিং টিকিট পরীক্ষক। এর পাশাপাশি প্রথম মহিলা হিসেবে হাওড়া ডিভিশনের হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। তিনি শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, শহিদ এক্সপ্রেস এবং হুল এক্সপ্রেস তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মসৃণ টিকিট চেকিং অপারেশন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

রেখার পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ যা সকলকে মুগ্ধ করে। এর পাশাপাশি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স ও গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ কর্মীদের অবিরাম উপস্থিতি, যাত্রী এবং কর্মীদের একইভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রেখা সিং, অন্যান্য অনেক মহিলা কর্মচারীর মতো, আত্মবিশ্বাসের সাথে তার দায়িত্ব পালন করেন। রেখা সিং-এর পরিবারে রয়েছে স্বামী ও পুত্র যাদের সম্পূর্ণ সহযোগীতা রয়েছে।