‘লজ্জা হারিয়ে ফেলেছেন …’, আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশকে কটাক্ষ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনিমার

আর জি করের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। গোটা দেশের মানুষ এই ঘটনায় বিচার চাইছেন। এই ঘটনায় প্রথমে কলকাতা পুলিশের কাছে তদন্ত ভার থাকলেও তা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর উপর দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে নেমেছে সিবিআই। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের নানান স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।

এদিন কলকাতা পুলিশের তদন্তে অসহযোগিতা ও ব্যর্থতা এবং আর জি কর হাসপাতালে গত ১৪ই আগস্ট রাতে হয়ে যাওয়া বিশাল হামলায় কলকাতা পুলিশের অনিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গোটা রাজ্য সহ দেশের মানুষ। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনিমা সেন। আর সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।

তিনি বলেছেন, “আমি আমার ছোটবেলা থেকেই কলকাতা পুলিশের সুখ্যাতি শুনে আসছি, তাই এই ভিডিয়োটায় আমি তাদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আগে যেটা শোনা যেত যে কোনও কেস সমাধানের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের যে ক্ষিপ্রতা আছে সেটার কাছে বিদেশের আচ্ছা আচ্ছা পুলিশেরা মাথা নিচু করে। আমি জানি আপনারা এখনও তেমনই ক্ষুরধার আছেন। ইচ্ছে করলে সব পারেন। কাজ করতে এসে আমরা অনেক সময়ই সমঝোতা করি, কিন্তু এমন কোনও কাজ করি না যাতে মনুষত্বের সঙ্গে আপোষ করতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের পুলিশ ভাই বোনেরা লজ্জা হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ যখন অন্য ফোর্স নামানো হল এই বলে যে রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এই কাজ করতে পারছে না তখন সেটা আমার থেকেও আপনাদের কাছে বেশি লজ্জার। আপনারা যেন একবারে শূন্যে নেমে গিয়েছেন। ওই মেয়েটার জায়গায় যদি নিজেদের কোনও প্রিয় মানুষের মুখ ভাবেন, আপনার মা, বোন, দিদি, বৌদির, তাহলেই দেখবেন সেই হারানো মনুষত্ব ফিরে এসেছে।”

অর্থাৎ কলকাতার পুলিশের পদে পদে এই ব্যর্থতা যেনো সকলের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা পুলিশের হাতে আর কোনো দায়িত্ব নেই। কলকাতা হাইকোর্ট ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা পুলিশের উপর যে অনাস্থা প্রকাশ করেছে তা যেনো লজ্জার।

আরও পড়ুন,
*রাজন্যাকে ধর্ষণের হুমকি! জিজ্ঞেস করা হচ্ছে রেট! পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল নেত্রী