ঘোড়ামুখী সিংহ! কোথাও কোথাও দেবীর বাহনের এমন রূপ কেন?

kmc 20240922 125604 DdrjeIlX6D

মাঝে রয়েছে দেবী দুর্গা। দু’পাশে রয়েছে চার ছেলেমেয়ে। লক্ষ্মী গণেশ সরস্বতী কার্তিক। এই চিত্রটির বয়স কিন্তু চার পাঁচশো বছরের অধিক পুরনো নয়। আরো প্রাচীন যুগের মূর্তি দেখা যায় সিংহ বহনকারী দেবী মহিষাসুরকে বধ করছে। তার সাথে সন্তানরা কেউ নেই। এর থেকে ধরে নেওয়া যেতে পারে একচালা মূর্তির বয়স কয়েকশো বছরের বেশি নয়।

প্রতিমার মূর্তি এভাবেই অবস্থার মধ্যে বদলেছে। অনেক সময় যেমন দেখা যায় দেহ সিংহ এর মত হলেও মুখ ঘোড়ার মত। কলকাতার মিত্র বাড়িতেই সেই পুরাতন রীতি এখনো রয়েছে। কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীতেও সিংহের মুখ ঘোড়ার মতো দেখতে। কিন্তু কেন? দুর্গার বাহন সিংহের মুখে ঘোড়ার মতো?

কলকাতার মহেন্দ্রনাথ দত্ত পুরনো কাহিনী ও গ্রন্থে জানিয়েছেন, এটা আসলে বৈষ্ণব বাড়ির দেবীর বৈশিষ্ট্য। যদি ও কালীঘাটের পটে আঁকা অথবা উনিশ শতকে খোদাই করা চিত্রে ঘোড়ামুখী সিংহ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এখানে অন্য ঘটনা রয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় ১৯৬৬ সালে তৈরি হয়। দল বেঁধে বাঙালিরা সেখানে গিয়ে সিংহকে দেখে।

এর আগে সুজলা সুফলা বাংলাদেশ হলদে কালো ডোরাকাটা বাঘ ছিল শেষ কথা। সুযোগ হয়নি সিংহকে প্রত্যক্ষ করা। আর তার জন্যই এর আগে শিল্পীরা তার কল্পনায় পশুর মাথায় কেশর বসিয়ে দিত। কিন্তু সিংহের মুখের আকার কেমন ছিল তা তাদের জানা ছিল না। যথাক্রমে এটা হয়ে ওঠে বিশেষ আকর্ষণ। যে এইরকম সিংহ কোথাও কোথাও আছে দেবী দুর্গার পাশে।

আজকাল অনেক থিমের পুজোয় অবশ্য পরীক্ষা দেখা যায়। গত ৬ দশক থেকে মোটামুটি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু নতুন যুগে এসে নতুন মাত্রা পায়। অনেক পরীক্ষা করার পর ফিরে এসেছে একচালা দেবীও। এভাবেই পুরনো সময় ফিরে এসে নতুনের বক্ষে স্থান করে নেয়।

আরও পড়ুন,
*পুজোর প্রসাদে মুরগির ডিম দিলে সুস্থ হবে সন্তান! এমনই বিধি রয়েছে যোগীরাজ্যে