এ বার ইডির সমন পৌঁছলো দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবুর কাছে। কিছুটা থমকেছেন সুপারস্টার। আর্থিক তছরুপকারী কোনও সংস্থার সঙ্গে আদৌ কি যুক্ত তিন?
সূত্র মারফত খবর, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেঙ্গানার একটি রিয়্যাল এস্টেট সংস্থার অর্থপাচার কাণ্ড। সেই সংস্থার সঙ্গে নাকি জুড়ে গিয়েছে অভিনেতা মহেশের নাম। তেলঙ্গানা পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই মামলাটি তদন্ত করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি মহেশ বাবুকে তলব করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
জালিয়াতির সঙ্গে মহেশ বাবু সরাসরি যুক্ত না-ও হতে পারেন। তিনি এই সংস্থার প্রচারধর্মী ছবির সঙ্গে সপরিবার যুক্ত। এমনটা অনুমান ইডি কর্মকর্তাদের। এই সংস্থার প্রচারধর্মী ছবির সঙ্গে সপরিবার যুক্ত থাকার কারনে তিনি যে অর্থ পেয়েছেন তা পাচার করা অর্থের অংশ কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত রিয়্যাল এস্টেট সংস্থার মালিক কে. সতীশ চন্দ্র গুপ্ত এবং আরও একটি সংস্থার মালিক নরেন্দ্র সুরানা-সহ একাধিক ব্যক্তি একই জমি একাধিক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন। আর সেই অর্থ তাঁরা পাচার করেছেন নানান উপায়ে।
মহেশ বাবু সংস্থার প্রচারমুখ হওয়ায় বহু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে এই সংস্থায় অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এমনটা দাবি ইডি অফিসারদের। ক্ষতিগ্রস্তেরা মহেশ বাবুর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণেই সংস্থায় অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। যেকারনে সরাসরি যুক্ত না থাকা সত্বেও অভিনেতার নাম জড়িয়ে গিয়েছে সংস্থার সঙ্গে। নোটিশ অনুসারে, সুপারস্টারকে ২৭ এপ্রিল হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।