গান শুনতে শুনতে পড়াশোনার অভ্যেস! ভাল নাকি খারাপ

অনেকেই এমন রয়েছেন যাদের গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করার অভ্যেস রয়েছে। তারা দিব্যি মন দিয়ে পড়াশোনা করে চলে। কিন্তু আপনি গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করতে গেলেই সব গোলমাল করে ফেলেন। আপনার কাছে এই জটিল ধাঁধার উত্তর মেলেনিও আজও। কেনো এমন হয় তা নিয়ে আপনি বেশ ভাবিত৷ তাই আর গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করার ঝুঁকি নেন না।

কিন্তু এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে আপনার। কিন্তু এই বিষয়ে অনেকের নানান রকম মত। নেটপ্রভাবী রাজন সিংহ বলেন, পড়াশোনা করতে করতে গান শোনা উচিত নয়। কারণ এই স্বভাবের ফলে পড়াশোনার বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে অসুবিধা হয়। এর পাশাপাশি পড়া ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তিনি আরও বলেন, গান ও পড়াশোনা একটি দ্বিমুখী ব্যবস্থার মত। কারণ যিনি গান শুনছেন তিনিই পড়া করছেন।

তার কান ও মাথা সমানতালে যুক্ত। এরফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। একসঙ্গে পড়াশোনা করলে ও গান শুনলে বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে অসুবিধা হয় ও সময় লেগে যায়। কিন্তু এরপরও তিনি আরও একটি বিষয় বলেছেন। রাজন বলেন, কিন্তু যদি গানের বদলে যন্ত্রসংগীত শুনতে শুনতে কাজ করা পড়াশোনা করা যায় তাহলে সমস্যা হয় না৷

তবে মনোবিদদের মতে, গান শোনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইরকম প্রভাব রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে গান মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু সবরকম গান সাহায্য করে না। কারণ খুব জোরে যদি জটিল কোনো গান চালানো হয় যা দ্রুত লয়ের তা শুনতে শুনতে কাজ করলে লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরফলে সেই মূহুর্তে করা কাজ মাথায় রাখতে সমস্যা হয়।

কিন্তু যদি ধীর লয়ের গান শোনা যায় যার ভাষা বোধগম্য ও সহজ তাহলে আর সেই সমস্যা হয় না৷ কাজের প্রতি আসক্তি আসে ও দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয় কিংবা পড়াশোনা করার সময় তা মনে থাকে। তবে পড়াশোনা করতে করতে গান শোনার অভ্যাস নানান জনের নানান রকম। তার পাশাপাশি কী ধরনের গান শোনা হচ্ছে বা কী বিষয় পড়তে পড়তে গান শুনছেন তা নির্ভর করে।

আরও পড়ুন,
ডায়াবেটিস রোগীরা নেমে চনুল এই নিয়ম
*মদের সাথে এই সব খাবার খেলেই বিপদ, সতর্ক হন