৫ কোটি টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও দুরবস্থা হবে! সালমান খানকে আবার তর্জন পত্র দিয়েছে বিষ্ণোই দলের

সালমান খানের নামে আবার একটি তর্জনের পত্র। মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে সালমান খানকে হত্যা করার তর্জনের পত্র পাঠিয়েছেন বিষ্ণুর দল থেকে। আর সেই পত্রে বিষ্ণোই দল স্পষ্ট করে লিখেছে, সালমান খানকে হত্যা করা হবেই। এর সাথে ওই পত্রে বিষ্ণোই দলের পক্ষ থেকে লেখা ছিল শুধুমাত্র পাঁচ কোটি টাকা দিলেই সালমান খানের জীবন বাঁচতে পারে! এই টাকাটা দিলেই বিষ্ণোই দল থেকে মুক্তি পাবে বলিউডের সালমান খান।

সর্বশেষে পুলিশের জালে লরেন্স বিষ্ণোই দলের মার্কসম্যান সুখা। আগের এপ্রিল মাসে বলিউডের তারকা সালমান খানের গৃহে গুলি চালানোর ঘটনায় এই মার্কসম্যানরাই জড়িত ছিলেন। অনেকদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন শুটাররা। এএনআই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া সংবাদ অনুসারে, সবশেষে বৃহস্পতিবার হরিয়ানার পানিপথ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় দোষীদের। মুম্বাইয়ে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সালমান খানের গৃহের গ্যালাক্সিতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনায় সালমান খানের কথাবার্তা রেকর্ড করলো মুম্বাই পুলিশ। সংবাদ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় চার ঘন্টা ধরে পুলিশের সাথে কথা বলেন সালমান খান। তবে শুধুমাত্র সালমান খানই নয়, এই ঘটনায় সালমান খানের ভ্রাতা আরবাজেও কথা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এই কান্ডটি ঘটেছিল ১৪ এপ্রিল। সালমান খানের ভবন অর্থাৎ মুম্বাই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি গুলি বর্ষন করে পলাতক হয় দোষীরা। এই কাণ্ডের জন্য দোষী হিসেবে সন্দেহ করে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের আবার কারাগারে মারা যায় । মৃতের নাম অনুজ থাপন। তার মৃত্যুর জন্য বোম্বে হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেস করা হয়। দোষারোপ চিঠিতে সালমান খানের নামও ছিল। আদালত সেই নাম সরানোর আদেশ দিয়েছে।

সালমান খানের গৃহে গুলি বর্ষণের কান্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) ধরে নিয়ে যায় ভুজ পুলিশ। দোষীদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংবাদ সূত্রে, এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাপ্তি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশ জানাতে পারে। নদী থেকে পাওয়া যায় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসে আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার এই কান্ড মুম্বাই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মূলশুটার সুখা।