দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সোমবার সন্ধ্যার ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের পর মুহূর্তে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে দ্রুতগতির নিরাপত্তা অভিযান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৫০০-র বেশি অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্তকারী দল। এতে রয়েছে আইবি, এনআইএ, এনএসজি, স্পেশাল সেল এবং দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিরা।
বহুপদস্থ অফিসারদের সমন্বয়ে তদন্ত দল
বিশেষ টিমে কনস্টেবল থেকে শুরু করে ইনস্পেক্টর, এসিপি, ডিসিপি, অ্যাডিশনাল সিপি, জয়েন্ট সিপি— এমনকি স্পেশাল কমিশনার অব পুলিশ পর্যন্ত রয়েছেন। এদের একাধিক দলে ভাগ করে বিভিন্ন তদন্ত-দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ, ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ধরন, নাশকতার যোগসূত্র— সবকিছুই সমান্তরালে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাজারের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে
সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই ১,০০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যায়ক্রমে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণে আপাতত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ২০-রও বেশি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর উন নবি। তিনি ফরিদাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনার আগে তাঁর সহকর্মী ডঃ মুজাম্মিল শাকিলকে ৩০ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও এক চিকিৎসক গ্রেফতার
মঙ্গলবার আরেক চিকিৎসক— দিল্লিভিত্তিক সার্জন ডঃ সাজাদ মল্লাকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। পুলওয়ামার বাসিন্দা ডঃ সাজাদের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনিক সংযোগও রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, তিনিও অভিযুক্ত ডঃ উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
অমিত শাহের জরুরি মিটিং
ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ একটি উচ্চস্তরের নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। পরই তিনি জানান, বিস্ফোরণের প্রতিটি অভিযুক্তকে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এনআইএ’র হাতে তদন্ত, চার চিকিৎসক এখন হেফাজতে
এই তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির হাতে। এখন পর্যন্ত চার চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে— উমর উন নবি, ডঃ মুজাম্মিল শাকিল, ডঃ শাহীন, ডঃ আদেল রাদর এবং সর্বশেষ ডঃ সাজাদ মল্লা। এর আগে ফরিদাবাদের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক ও অস্ত্র। উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও সাহারানপুর থেকেও ধরা পড়েছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহভাজন চিকিৎসক।
তদন্ত এখন গতি পেয়েছে। দিল্লির এই বড়সড় বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দেশের বহুলাংশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ— যেই হোক, মূলচক্র শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
FAQ
১) প্রশ্ন: লালকেল্লা মেট্রোর কাছে বিস্ফোরণটি কখন ঘটে?
উত্তর: সোমবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণটি ঘটে।
২) প্রশ্ন: বিস্ফোরণে কতজন নিহত হয়েছেন?
উত্তর: প্রাথমিকভাবে ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
৩) প্রশ্ন: কতজন আহত হয়েছেন?
উত্তর: ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
৪) প্রশ্ন: তদন্তে কারা যুক্ত আছে?
উত্তর: আইবি, এনআইএ, এনএসজি, স্পেশাল সেল এবং দিল্লি পুলিশের অফিসাররা মিলিয়ে ৫০০-র বেশি সদস্য।
৫) প্রশ্ন: বিস্ফোরণের মূল সন্দেহভাজন কে?
উত্তর: পুলওয়ামার চিকিৎসক ডঃ উমর উন নবি।
৬) প্রশ্ন: বিস্ফোরণ তদন্তে কতটি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে?
উত্তর: ১,০০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
৭) প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত কতজন চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছেন?
উত্তর: মোট চারজন— উমর উন নবি, ডঃ সাজাদ মল্লা, ডঃ শাহীন ও ডঃ আদেল রাদর।
৮) প্রশ্ন: ডঃ সাজাদ মল্লা কে?
উত্তর: দিল্লিভিত্তিক সার্জন এবং পুলওয়ামার বাসিন্দা; ডঃ উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
৯) প্রশ্ন: তদন্তের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)।
১০) প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডেকে দ্রুত অভিযুক্তদের শনাক্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
#DelhiBlast #NIAInvestigation #RedFortExplosion

