মাত্র দিন কয়েক হল মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। মিষ্টি খাওয়ানো হয় সাধারণত মাধ্যমিকে প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় হলে এছাড়া পাশ করলে মিষ্টি খাওয়ানোর মত বিষয় হয়ে থাকে কিন্তু কখনো কী দেখেছেন ফেল করলে তাঁকে মিষ্টি খাইয়ে ঘরে তোলা হচ্ছে? এবছর এমনি ঘটনার সাক্ষী হল কর্নাটকের বাগালকোট।
মাধ্যমিকে পাশ করতে পারেনি ছেলে। পাশ করা তো অনেক দূর, ছেলে সব বিষয়েই ফেল করেছে। এক কথায় ডাহা ফেল! তা সত্ত্বেও অখুশি নন মা-বাবা। তাঁরা দু’জনে মিলে ছেলেকে মিষ্টি খাইয়েছেন।
কর্নাটকের বাগালকোটের ঘটনা। ৬০০ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে মাত্র ২০০। একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া অভিষেক চোলাচাগুদ্দা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সব বিষয়েই ফেল করেছে। মাধ্যমিকে সব মিলিয়ে ৩২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে অভিষেক।
পরীক্ষায় এমন ফলাফলের পর বন্ধুবান্ধব, পাড়াপড়শিরার থেকে যখন ধেয়ে আসছে কটাক্ষ, তখন মা-বাবা ছেলের পাশে দাঁড়ালেন। বকাঝকার বদলে কেক কেটে, মিষ্টি খাইয়ে ওই মুহূর্ত উদ্যাপন করলেন তাঁরা। অভিষেককে তাঁরা বলেন, হতে পারে – স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করেছো। কিন্তু জীবনের পরীক্ষায় তুমি ফেল করোনি। তুমি আবার চেষ্টা করো। চেষ্টা করলে সফল হবে তুমি।”
আরও পড়ুনমাধ্যমিকে স্কুল ‘টপার’, জন্ডিসে ভুগে ২ সপ্তাহ আগে মারা গিয়েছে, কান্নায় ভেঙে পড়েছে থৈবির পরিবার
মা-বাবা পাশে দাঁড়ানোয় খুবই খুশি অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘পরীক্ষায় ফেল করার পরও গোটা পরিবার যে ভাবে আমার পাশে দাঁড়াল, তাতে আমি অভিভূত। আমি আবার পরীক্ষায় বসব। পাশ করব এবং জীবনে অনেক উন্নতি করব।”
মাধ্যমিকে ছেলে/মেয়ে ফেল করলে তাদেরকে সকলেই কটাক্ষ করে এর ফলে সেই ছাত্র/ছাত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে এমন এবস্থায় কেউ যদি কটাক্ষ না করে তাঁর পাশে থাকেন তাহলে মানসিক অবস্থার অবনতি কম হয়। মা-বাবা পাশে থাকলে তো আর কোনো কথাই নেই।