গত ১১ই মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী ও সোনম। বিয়ের পরই আর পাঁচজন দম্পতির মতন তারাও মধুচন্দ্রিমায় ঘুরতে যান। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে ঘুরতে যান তারা। বিয়ের ৯দিন পর ২০শে মে তারা মেঘালয় ঘুরতে যান। কিন্তু এই আনন্দযাপন যে রাজা রঘুবংশীর পরিবারে সারাজীবনের জন্য এক অন্ধকার সময় বয়ে আনবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।
মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার সময় তারা আসামে মা কামাখ্যার দর্শন করেন। এরপর ২৩মে মেঘালয়ের শিলং-এ পৌঁছোন। সেখানে বেড়ানোর সময় তাদের দু’জনের দুই পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। আর তারপর থেকে এই ঘটনা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে পরিবার।
এরপর তাদের থেকে খোঁজখবর পাওয়া না পাওয়ায় সোনমের ভাই গোবিন্দ ও রাজার ভাই বিপিন জরুরী বিমানে শিলং পৌঁছোন। এরপর তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। আর তারপরই পুলিশের তরফে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তল্লাশি শুরু হওয়ার ৮ দিন পর রাজার মৃতদেহ একটি গভীর খাদে খুঁজে পাওয়া যায়। তখনও সোনমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সোনমের পরিবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করে। সোনমের খোঁজ না পাওয়ায় যখন তার পরিবার চিন্তায় মাথার চুল ছিঁড়ছেন সেইসময় উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে সোনম নিজেই তার বাড়ির লোককে ফোন করে। এরপর সেখানে গিয়ে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার মোড় যে এভাবে ঘুরে যাবে তা বোধ হয় কেউ ভাবতেও পারেননি৷ রাজা রঘুবংশীকে হত্যা করাই ছিল সোনমের আসল উদ্দেশ্য। আর তাই সে মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে। সোনম ভাড়াটে খুনি ঠিক করে এবং তারপর শিলং যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সোনম ও অন্যান্য অভিযুক্তরা একসঙ্গে ট্রেনে ওঠে। এই ঘটনা যে পুরোটাই আগে থেকে প্ল্যান করা তা এতদিন স্পষ্ট হল পুলিশের কাছে।