টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন তিনি। তার অভিনয়ে মুগ্ধ ছিল অনেকেই। কিন্তু রাজনৈতিক ময়দানে নেমে একটি মন্তব্যের পর তার জনপ্রিয়তা অনেকাংশে লোপ পায়। বরং অনেকেই তার করা সেই মন্তব্য আজও মেনে নিতে পারেননি৷ তিনি হলেন তাপস পাল। কিছু বছর আগে তাপস পাল একটি উক্তি করেন যার জন্য তাকেও মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত আফসোস করতে হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “আমি চন্দরনগরের মাল, বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।”
তার এই মন্তব্য প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন উক্তির পর তার ধবধবে জামায় যেনো কালির দাগ লেগে গিয়েছিল। অনেকেই বলেন, তাপস পালের মতন সাধারণ ও সরল ছেলে হয় না৷ তার স্ত্রী নন্দিনী পাল বলেছিলেন, “তাকে উস্কানো হয়েছিল।” তবে যাই হোক ওই মন্তব্য আজও কেউ ভুলতে পারেনি৷ তাপস পাল অনেক ছোটো বয়সে টলি পাড়ায় প্রবেশ করেন।
থিয়েটারের মাধ্যমে পর্দার দুনিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। তার আগে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে তিনি পড়াশোনা শেষ করেন। অভিনয়কে ছোটো থেকেই ভালোবাসতেন। তার বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক। তবে তাপস পাল নিজের পরিচয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন। ছাত্র জীবনে দিল্লিতে থাকতেন তাপস পাল। সেইসময় দিল্লিতে থাকাকালীন এক ঘটনার সম্মুখীন হন। রোজ সকালে পাশেই গোয়াল থেকে দুধ আনতে যেতেন তিনি।
আরও পড়ুন,
*লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে জিনাতের মন্তব্য শুনে বিস্ফোরক সায়রা বানু
সেই লাইনে দাঁড়িয়ে একদিন তার দেখা হয় জয়া বচ্চনের দাদুর সঙ্গে। তাপস পাল তাকে চিনতেন। কারণ তিনি মাসির বাড়ির পাড়াতেই থাকতেন। এরপর তাকে চিনে সামনে গিয়ে তাপস বলেন, “একি দাদু আপনি? জয়া দিদি কেমন আছেন?” এরপর তিনি রোজ জয়া বচ্চনের দাদুর সঙ্গে দুধ কেনার লাইনে দাঁড়াতেন। সেইসময় তাপস পালের অভিনয় জীবনে প্রবেকরার স্বপ্ন খেলা করত চোখে।
তিনি দাদুর থেকে জানতে চাইতেন জয়া বচ্চনের অভিনয় জগত সম্পর্কে। সেইসময় জয়া বচ্চন পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতেন৷ এরপর দিল্লি ছেড়ে কলকাতা ফিরে আসেন তাপস পাল। তরুণ মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয় তার। তরুণ মজুমদার তাপস পালকে নিয়মিত টালিগঞ্জের এনটিওয়ান স্টুডিয়োতে যাতায়াত করতে নির্দেশ দেন। এরপর অভিনেতাকে দূর থেকেই লক্ষ্য করতেন পরিচালক। শেষে ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তাপস পাল। আর এরপর থেকে শুরু হয় অভিনয় জগতে প্রবেশ।
আরও পড়ুন,
*মেয়েদের শরীরে এই লক্ষণ থাকলে প্রেমে ভীষণ চতুর! কি জানাচ্ছে সমুদ্র শাস্ত্র
*AC ঠান্ডা করছে না? এই কাজ করলেই হু হু করে বেরোবে কুল কুল হাওয়া