জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসকের গণ ইস্তফা

kmc 20241008 160656 s8usqGE30B

আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনায় গত ৯ই আগস্ট থেকে আন্দোলন জারি রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার সেই আন্দোলনের এক নতুন মোড় নিল। এদিন মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিলেন। এই ঘটনায় রোগী চিকিৎসায় এক বিরাট প্রভাব ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সিনিয়র চিকিৎসকদের এমন পদক্ষেপে অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার।

গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনের পথে হেঁটেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের নির্ধারিত ১০ দফা দাবি তারা সরকারের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাদের বক্তব্য সরকার যতক্ষণ না তাদের এই দাবিগুলি মেনে নিচ্ছে বা আলোচনার ডাক দিচ্ছে ততক্ষণ তারা তাদের অনশণ জারি রাখবেন। এদিকে তিন দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কোনোরকম বার্তা যায়নি।

আর এমন পরিস্থিতিতে গণ ইস্তফা দিলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক। পুজোর মধ্যে চিকিৎসকদের এমন পদক্ষেপ রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশণ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। এর পাশাপাশি আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন।

তিনি জানান, আগামী ১০ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও কোন মাসের ১০ তারিখ তা উল্লেখ করেননি মুখ্যসচিব। তার ফলে অনেকে মনে করছেন, মুখ্যসচিব আগামী ১০ই অক্টোবরের কথা উল্লেখ করেছেন। এদিন মুখ্যসচিব বলেন, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী হাসপাতালে রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রোজেক্ট আগামী ১৫ তারিখ থেকে চালু হবে।

তিনি আরও বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে ১লা নভেম্বর থেকে সেই সিস্টেম কার্যকর হবে। তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। এবং কাজ যে হচ্ছে, সেটাও দেখা যাচ্ছে।” মুখ্যসচিবের এমন আশ্বাসের পরদিনই গণ ইস্তফা দিলেন আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন চিকিৎসক। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটিই দেখার।