20240623 220748

গত সোমবার ঘটে গিয়েছে এক বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় কে দায়ী তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু এমন দুর্ঘটনার আবহে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর থেকে একই প্রশ্নে বিদ্ধ রেল মন্ত্রক। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব সীমান্তে রেল বিভিন্ন রেল গেটে নতুন যন্ত্র বসাবে। এর ফলে স্টেশন মাষ্টারের সঙ্গে গেটম্যানের কথোপকথন রেকর্ড করা থাকবে।

প্রতিদিনই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে কমিশনার একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা একজনের সঙ্গে অপর জনের বয়ান মিলিয়ে দেখছেন। বয়ানে যদি অসঙ্গতি ধরা পড়ে তবে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক, গার্ড, রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার সহ সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনার দিন ভোর থেকে অকেজো ছিল রাঙাপানি এবং চটেরহাটের মাঝের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা। এরফলে ট্রেন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’-র ভিত্তিতে। জানা গিয়েছে, রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাষ্টারের দেওয়া কাগুজে অনুমতি নিয়ে চালক ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যান। সেই একই অনুমতি পেয়েছিলেন মালগাড়ির চালক।

কাগুজে সিগনাল পেয়েও বেশি জোরে চালানো হয় মালগাড়ি। জানা যাচ্ছে, রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাষ্টারকে মালগাড়ির গতির কথা জানানো হয়েছিল। এরপর গেটম্যান স্টেশন মাষ্টারকে খবর দেন। এমনটাই জানিয়েছেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। কিন্তু গেটম্যান ও স্টেশন মাষ্টারের সঙ্গে কখন কথা হয় ও কী কথা হয় তা নিয়ে চলছে তদন্ত। গেটম্যান সত্যি কথা বলছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অনেকেই বলছেন, রেলগেটের গুমটিতে থাকা টেলিফোন রেকর্ড দেখলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে, রেলগেটের গুমটিতে থাকা এই যন্ত্রের মাধ্যমে টেলিফোন স্টেবেলাইজেশন হবে। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। এর পাশাপাশি গেটম্যানের সঙ্গে স্টেশন মাষ্টারের কথোপকথন রেকর্ড থাকবে। জানা যাচ্ছে, এই যন্ত্র অনেক স্টেশনে নেই। এবার উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত স্টেশনে বসানো হবে এই যন্ত্র।