শনিবারে সারেগামাপার অনুষ্ঠান আলোচনা উচ্চস্থানে। সেদিনের পর্ব সমাপ্তর সিজন থেকে বাতিল পরল উত্তর ২৪ পরগনার সপ্তপর্ণী, কার সাথে যোগদান দেয় সারেগামাপার বিজয়ী কুশল। বিশাল শেখর এর রচনা করা ‘খুদা জানে’- এর সম রোমান্টিক সংগীত গেয়ে বিচারকর্তাদের হৃদয় জয়ী হতে পারেনি সপ্তপর্ণী বসু। মাত্র ২২ নম্বর পেয়ে কম্পিটিশন থেকে বাদ পড়লেন তিনি। সপ্তপর্ণীর কর্মক্ষমতা অল্পস্বল্প পর্যালোচনা করে সব বিচারকর্তাই। তবে অন্তরা মিত্রের মত নিয়ে উত্তপ্ত সামাজিক মিডিয়া।
অন্তরা নিজের জন্য সপ্তপর্ণীকে দু লাইন সংগীত গাইতে বললেন। এরপর সে নিজে দু লাইন গান গায় ‘হামকো ক্যায়া লেনা’ (একটু ন্যাকা স্বরে) এইগুলোর কোন দরকার নেই । এটা নয় যে ছেলে-মেয়ের গান ছিল না। এটা নারী-পুরুষের সঙ্গীত। এইগুলোর কোন দরকার নেই। অন্তরা বলতে চাইলেন এটা পূর্ণতাপ্রাপ্তির ভালোবাসার সংগীত, সেখানে অনর্থক ভাইব্রেটো নিয়ে আসার কোন দরকার ছিল না। কিন্তু অন্তরার এই কথা বলার লক্ষণ পছন্দ করেনি নেটিজেনরা। সপ্তপর্ণীর পাশাপাশি সুরে গাইলেন, সে কথা পরিষ্কার করে বলেন জাবেদ আলি।
একজন লেখেন , ‘মেয়েটি তো এরকম ঢং করে গায়নি, অন্তরা যে ভাবে গাই ছিল’।আরেক জন বললেন, ‘বিচারকর্তাকে আগে একটা বাংলা গান নির্ভুল ভাবে সংগীত গাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো! পরে না হয় আলোচনা করবেন। অন্য আরেক জন বলেন, ‘অন্তরা নিজেই তো সংগীত পারে না, ভারতীয় আইডল ২- তে অতিরিক্ত অভিনয় করতেন….. মনে করছে আমরা সব ভুলে গেছি। সব সময় নিজেকে বৃহৎ মনে করে, মনে করে যেন ‘শ্রেয়া ঘোষাল’।
আবার কেউ কেউ জানায়, অন্তরার বলার ভাব ভঙ্গি ভুল ছিল। অন্তরার সমর্থনরাও তেমন মুখ খোলেনি। তবে তার সংখ্যাটা হাতে গোনা কয়েকজন। একজন লেখেন, ‘অন্তরা সঠিক বলেছেন। সব জ্ঞানী সর্বজনীনরা আসে নেতিবাচক মন্তব্য করতে। আসল কথা কম জনপ্রিয় বলে শিল্পীর কোন দাম নেই। শুনে মনে হল মেয়েটি ঢং করে গেয়েছেন, একদম সামনাসামনি বলে দিয়েছেন। এটাই বিচারকর্তাদের কাজ’।
বিস্ময়কর ভাবে ইমন রাঘবের দলের সভাসদ সপ্তপর্ণীকে ৭ নাম্বার করে দেয় জাবেদ আলী-জোজো,ও কৌশিক-ইন্দ্রদীপের জুটি। অন্তরা ও শান্তনু কিন্তু ১ নম্বর বেশি দিয়ে (৮ নাম্বার) দেয় সপ্তপর্ণীকে, যার জন্য তার প্রাপ্ত নাম্বার দাঁড়ায় ২২। যাওয়ার সময় সপ্তপর্ণীর চোখে জল। ইমন বলেন, তুই আমাদের দলে ছিলি, আমাদের অনেক পরিতোষ দিয়েছিস। সহকর্মীদের অনেক বার হাসিয়েছিস, তোর পরবর্তী জীবন অনেক সুন্দর হোক’। এক সময় সারেগামাপার কোরাস দলে সপ্তপর্ণী গাইতেন, তারপর আস্তে আস্তে মূল মঞ্চে স্থান করে নেয়। এই ভ্রমণের কথা মনে গাথা থাকবে সারা জীবন।
আরও পড়ুন,
*‘সন্তান নেওয়ার সময় হয়েছে’, ৩৮ বছর বয়সেও অবিবাহিত কঙ্গনা, নেপথ্যের কারণ জানালেন অভিনেত্রী