গানের রেকর্ডিং করতে লাহোর থেকে দুবাইয়ে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাহত ফতে আলি খান। গোটা বিশ্ব জুড়ে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়ল। সূত্র মারফত জানা যায় সোমবার সন্ধ্যায় গায়ক রাহত ফতে আলি খান দুবাই বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতেই নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে রাহতকে।
চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছুসময়ের মধ্যেই আসরে নামেছেন শিল্পী। তিনি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যায়, নিশ্চিন্তে বসে আছেন গায়ক। তিনি তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে বলছেন, “সব কিছু ঠিক রয়েছে। আমাদের গানের রেকর্ডিং খুব ভাল হয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ জঘন্য গুজবে কান দেবেন না। খুব শীঘ্রই দেশে ফিরব আপনাদের কাছে।”
খান জন্মসূত্রে একজন পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক রাহত ফতেহ আলি। ‘তেরে মস্ত মস্ত দো নয়ন’, ‘তেরে বিন’, ‘ওরে পিয়া’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের নাগরিক হলেও তাঁকে আপন করে নিতে দ্বিধা করেননি ভারতীয় শ্রোতারা। তবে আপাতত ভারতে তাঁর গান গাওয়ার পথ বন্ধ। ২০১৬ সাল থেকেই উরি হামলার পর থেকে পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কোনও কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন,
*বিমানসেবিকার ভুলে সারার গায়ে উল্টে পড়ল জুসের গ্লাস, এ কি কান্ড ঘটেলেন সইফকন্যা!
সম্প্রতি বার গুজব রটেছে ম্যানেজারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কারনে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এর পূর্বে ২০১৪ সালে দিল্লি বিমানবন্দরে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মার্কিন ডলার নগদ সমেত রাহতকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ। সূত্র মারফত আরও খবর, গত জানুয়ারি মাসে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে ম্যানেজার সলমন আহমেদের সাথে রাহতের মতানৈক্য। তার পর সাংবাদিক সম্মেলন করে শিল্পী জানিয়েছিলেন, তিনি সলমনের সাথে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবেই সম্পর্ক ছেদ করছেন। রাহত আরও দাবি করেছিলেন যে কনসার্ট এবং অন্য অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিকের বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য গোপন করেছিলেন সলমন। তিনি তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে কোনোরকম প্রতারণা করতে চান না।
মূলত বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগেই দীর্ঘ ১২ বছরের কর্মী সলমনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। বর্তমানে রাহতের স্ত্রী নিদার সংস্থা শিল্পীর যাবতীয় কাজের দেখভাল করছেন। ইন্টেলিজেন্স শাখার গোয়েন্দারা। ঘটনায় ফেমা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যদিও সে বার প্রথম থেকেই অভিযোগ সমস্ত অস্বীকার করেছেন তিনি।