আর জি কর হাসপাতালের কর্ম কান্ডে সারা দেশ জুরে প্রতিবাদের আগুনে তপ্ত হচ্ছে, এই মতো অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের নায়িকা নেতৃরা মুখে প্রায় সবাই কুলু পেটে আছে। এদের মধ্যে যারা অন্যান্য ঘটনায় সর্ব প্রথমে মুখ হলেন তারা এই দুর্বিসহ অবস্থায় মুখে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি যেমন তালিকার প্রথমেই থাকে সাইনি ঘোষ ,শতাব্দী রায় ,রচনা ব্যানার্জি। এদেরকে উদ্দেশ্য করে কিছু কিছু জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে যেটাই লেখা ছিল ‘লাপাতা লেডিস’।
সংসদের সদস্য হওয়ার আগে কতইনা প্রতিশ্রুতি তাদের মুখে শোনা যায় কোন সমস্যা হলে সেটাই তুলে ধরবেন নাকি ,তারা সংসদে থাকা কালীন আজ এত বৃহত্তর কাণ্ড হয়েছে তবুও কেন তারা মুখ খুলছেন না এই নিয়ে শোরগোল হয়েই চলেছে। এতকিছুর পরও স্বাধীনতা দিবসের পরে যেই একজন মুখ খুললেন তবুও তিনি মিমের চরম মুখে পড়েছেন। রচনা ব্যানার্জি নিজের ট্রোল হতে ও মিম দেখে নিজের চোখে জল চলে এলো তার চোখের জল দেখে সংগীতশিল্পী শাহানা বাঁচপেয়ী বলছেন এটা নাকি কুমিরের চোখের জল।
শাহানা বাঁচপেয়ী বলছেন কুমিরের চোখের জল দেখে আমার মাথায় একটি প্রশ্ন আসছে তার চোখের স্মার্ট প্রুফ কাজলটি কোন ব্র্যান্ডের ছিল যদি একটু তিনি বলে দিতেন? আসলে রচনা ব্যানার্জি যখন ভিডিওটি করছিলেন তখন তার চোখে কাজল ছিল। আর জি কর হসপিটালের এই কাণ্ডে খুবই দুঃখিত হয়ে রচনা ব্যানার্জি বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে নিজেকে সামলাতে না পেরে কান্না করে দিচ্ছে তাতে কিন্তু তার চোখের কাজলটা একটুও নষ্ট হয়নি সেটা লক্ষ্য করেছেন সাহানা।
ছোট পর্দায় যখন তিনি সঞ্চালকের পথ সামলান তখন এবং অভিনয় করেন তখন দুটির মধ্যে কোনই পার্থক্য তার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। শাহানা লিখেন “আমাদের আবার নির্লজ্জ নেকুপসু লুতুপুতু অতি দুর্বল অভিনয় জাত নাকি কাঁদবে না তা আবার হয় নাকি। দুপুর গড়াতে না গড়াতে এমনি লেপটে যায় টিভিতে। প্রত্যাহীক সন্ধ্যাকালীন সুড়সুড়ি দিতে না হইলে আমাদের মেকআপ বুকিং দিয়ে রাতে পথ নাটিকায় সামিল হইতে হয় সেলফি খোর নেশারুদের ন্যায়”। তিনি সমস্ত বিবরণীর মাঝে কোথাও অভিনয়কারীর নাম একবারের জন্য বলেন নি তবুও সমস্ত বিবরণের মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি অবশ্যই ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’কে বুঝিয়েছেন খানিকটা হেয়ালির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন,
*নার্সিংহোমে ভর্তি ভিক্টর ব্যানার্জি, অভিনেতার শরীরের অবস্থা কেমন?