“আমি কখনও বিশ্বাস করিনি, চন্দ্রকে ছাড়া এই ব্যান্ড কোনওদিন পারফর্ম করবে”, চন্দ্রমৌলির প্রয়াণে আবেগঘন রূপম

শীতকালীন মরশুমে শিল্পীদের নানান জায়গায় অনুষ্ঠান পারফর্ম করতে যেতে হয়। তেমনই রবিবার রাতের একটি অনুষ্ঠান করতে কল্যাণীর উদ্দেশ্যে ব্যান্ড নিয়ে যাচ্ছিলেন রূপম ইসলাম। কিন্তু সেইরাতে মাঝপথে আচমকা যে খবর আসে তা শুনে হতভম্ব ও কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি। ফসিলস্-এর প্রাক্তন সদস্য তথা বন্ধু চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের প্রয়াণের খবর তখন কানে আসে রূপমের।

বন্ধু বিয়োগে আঘাত পেলেও শো থামাননি রূপম। বন্ধুর মৃত্যুশোককে আগলে মঞ্চে উঠলেন রূপম। গান শুরু করার আগে চন্দ্রমৌলিকে স্মরণ করতে ভুললেন না তিনি। দীর্ঘদিনের বন্ধু তথা ফসিলস্ ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্যর অকাল প্রয়াণের রাতে স্মৃতির সরণি বেয়ে অতীতে ফিরে গেলেন রূপম। তিনি বললেন, “এই নিয়ে একুশবার বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবে। তার মধ্যে ষোলোবার আমাদের সঙ্গে যিনি পারফর্ম করেছেন, তার ছবি পিছনে ফুটে উঠেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আসার সময় গাড়িতে একটা খবর পেয়েছি। সেই খবরটা বজ্রাঘাতের মতোই আমাদের মাথায় এসে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেউই গান গাইতে পারে না, কারওর হাতের বাদ্যযন্ত্র বেজে ওঠে না। কিন্তু বাংলা রক জনতা আমাদের সামনে উপস্থিত। যাদের খোঁজ আমরা একসঙ্গেই করেছিলাম। একটা বিরাট সময় চন্দ্র তখন আমাদের সঙ্গেই ছিল। আমি কখনও বিশ্বাস করিনি, চন্দ্রকে ছাড়া এই ব্যান্ড কোনওদিন পারফর্ম করবে। ওর সঙ্গেই আমার বেশি বন্ধুত্ব ছিল।”

এরপর শিল্পী আরও বলেন, “চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের সঙ্গে গত বছর পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। নানান দার্শনিক বিষয়ে কথা হত। কিছু কিছু গান নিয়ে ওর সঙ্গে বসার কথা ছিল। তবে ওর জীবন আলাদা করে চলছিল। আমার মনে হয় না সেই সব গান আমি আর কোনওদিনই প্রকাশ করতে পারব।” রূপম ইসলামের স্ত্রী রূপসা দাশগুপ্তর কথায়, “চন্দ্রর স্মৃতিতে আমরা এই নীরবতা চাইছি না। বরং চিৎকার হোক।” সেইসময় রূপম মঞ্চে গান ধরেন, ‘এই একলা ঘর আমার দেশ’।

এদিন রবিবার কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ফসিলস্ ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের ঝুলন্ত দেহ। সূত্রের খবর তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কাজ না পাওয়ার হতাশা থেকে তিনি আত্মঘাতী হন৷ তার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই তার অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেন।

এদিন কল্যাণীর অনুষ্ঠানে রূপম জানান, “ব্যান্ড জীবনে একটা কথা মাথায় রাখতে হয়। গরিষ্ঠতা কী বলছে? সেই হিসেবেই পথ চলতে হয়। এখানে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কোনও জায়গা নেই। সেই গরিষ্ঠতা থেকেই আমাদের সঙ্গে অনেকের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সঙ্গীতের সফর চালিয়ে নিয়ে যেতে। সেই পথ চলা যে এমন একটা সন্ধ্যায় আমাদের এনে দেবে, যেদিন এক সঙ্গীর ছবি এভাবে পিছনের পর্দায় রেখে আমাদের মঞ্চে উঠতে হবে এবং বলতে হবে, আজকের অনুষ্ঠান কী করে করব? জানিনা, কখনও ভাবিনি! তবে এটাই জীবন।”

আরও পড়ুন,
*‘আর কটা দিন থেকে যেতে পারতে…!’ বাবার জন্মদিনে আবেগমাখা পোস্ট করলেন স্বস্তিকা, লিখলেন অব্যক্ত কথা

error: Content is protected !!
শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক