Sahara Money Refund: বহুল আলোচিত সাহারা মানি রিফান্ড ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সাহারা ইন্ডিয়া কমার্শিয়াল কর্পোরেশন লিমিটেড (SICCL)। সংস্থাটি তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রির অনুমতির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বিক্রির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আদানি প্রোপার্টিজের সঙ্গে সম্পদ বিক্রির প্রস্তাব
আদালতে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, SICCL তাদের বেশ কিছু সম্পদ আদানি প্রোপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে বিক্রি করতে চায়। বিক্রির তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের অ্যাম্বি ভ্যালি প্রকল্প এবং লখনউয়ের সাহারা সিটি। এই প্রস্তাবের শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে।
অ্যাডভোকেট গৌতম অবস্থির মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে জানানো হয়েছে যে এই বিক্রি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর টার্ম শিটে নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে করা হবে।
ইতিমধ্যে সংগৃহীত ১৬,০০০ কোটি টাকা
SICCL জানিয়েছে, সাহারা গ্রুপ এতদিনে প্রায় ১৬,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা SEBI – সাহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। মোট প্রায় ২৪,০৩০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ফেরতের লক্ষ্যে এই তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কোম্পানির দাবি, SEBI নিজে বেশ কয়েকবার সাহারা গ্রুপের সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করলেও সফল হয়নি, কিন্তু সাহারা ও SICCL-এর প্রচেষ্টাতেই এই অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।
আদালতের অনুমতি পেলে বড় সাফল্য
প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় মোট ৮৮টি সম্পত্তি বিক্রির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। SICCL-এর মতে, এই পদক্ষেপ সাহারা গ্রুপের সম্পদের ন্যায্য মূল্যায়ন ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আর্থিক দায় পূরণে সহায়তা করবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার আলো
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট যদি এই বিক্রির অনুমতি দেয়, তবে এটি সাহারা বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরতের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হবে। পাশাপাশি, সাহারা গ্রুপের দীর্ঘমেয়াদি আইনি জটিলতা নিরসনেও বড় ভূমিকা রাখবে এই পদক্ষেপ।
[বিঃদ্রঃ] – সাহারা মানি রিফান্ড মামলাটি ভারতের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক বিতর্কগুলির একটি। লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরাতে সরকার ও আদালত দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
