হাসলেই নাকি গালে টোল পরে তাঁর। চলচ্চিত্র জগতের প্রথম থেকেই প্রীতি জিন্টার সেই মিষ্টি হাসি ভক্ত দর্শকেরা। কিন্তু এই হাসির পেছনেই আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই অনেক শোক,বেদনা আড়ালে থাকে অভিনেত্রীদেরও, সে সংবাদ আর কেইবা রাখেন। বাহির থেকে ওদের যতটা সুখী মনে হয়, আসলে তারা অতটা সুখী নয়।
মাতৃসুখের কথা বলতে গিয়ে জীবনের হতাশা ও বেদনাময় সময় ভাগ করে নিয়েছে ‘বীর-জারা’-এর অভিনেত্রী। নায়িকা বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি এখন দুই সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চার মা। জয় ও জিয়া এবং নাথ জেনে গুডেনাফের সাথে সুখ শান্তিতেই দিন কাটছে তার। কর্ম থেকে বিদায় নেওয়ার বেশ কিছু বছর পর অভিনয় জগতে আবার ফিরে আসছেন তিনি।
প্রীতি তার মাতৃত্বের কথা বলতে গিয়ে দুঃসময়ের কথা জানিয়েছেন। সারোগেসির সাথে বিবাহ হওয়ার পর তার দুই সন্তান হয়। তবে এর আগে আইভিএফ করিয়েছিলেন তিনি। জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি, একটা সুস্থ সংসার জীবন, সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে জীবনযাপন করার স্বপ্ন ছিল তার সব সময়। বিবাহের পর সন্তান আনাটা অতটা সহজ, ও সুন্দর ছিল না প্রীতির জীবনে। নায়িকার কথায়, কর্মজীবন যতই সুন্দর হোক, মা হওয়ার জন্য বয়সের কথাও মাথায় রাখতে হয়। অভিনেত্রী হলেও জীবনের সময় কখনো থেমে থাকে না।
সারোগেসির পূর্বে আইভিএফ করিয়েছেন প্রীতি। কিন্তু সেই পথ মোটেই ভালো ছিল না। অনেক হতাশা নিয়ে দিন কাটছিল তার। অভিনেত্রী জানিয়েছে, তার হাসিমুখ দেখেই ভক্তদের অভ্যাস। কিন্তু তার জীবন থেকে সেই হাসির চলে গিয়েছিল। একটা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আইভিএফ”-এর সময় এমন দিন কেটেছে, কখন কারো সাথে কোন কথা বলতে ইচ্ছা করত না। মনে হতো দেয়ালে মাথা ঠুকি।”
তবে সেই কঠিন পরিস্থিতি পার করে,শেষ পর্যন্ত মায়ের সুখ পেয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী জানিয়েছে, এখন তারা অনেকটাই বড় হয়েছে। তাই এখন আবার সিনেমা জগতে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “লাহোর ১৯৪৭” এর সিনেমা অভিনয়ের মধ্যে ফিরছে নায়িকা প্রীতি জিন্টা।
আরও পড়ুন,
*মৃত্যুকে পরাজিত করেছে বাল্যকালে, প্যারালিম্পিকে জুডো ব্রোঞ্জ জয় ভারতের কপিল পারমার