Hidden Camera In Bathroom: টাটা ইলেকট্রনিক্সের মহিলা হস্টেলের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসানোকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই মহিলা কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোথায় ঘটেছে ঘটনা?
তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলার নাগামঙ্গলম ইউনিটের টাটা ইলেকট্রনিক্সের মহিলা হস্টেল “বিদ্যাল রেসিডেন্সি”—সেখানকার একটি বাথরুমেই মিলেছে গোপন ক্যামেরা। সন্দেহজনক ডিভাইসটি প্রথম দেখতে পান কয়েকজন মহিলা কর্মী, এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা।
কী বলল টাটা ইলেকট্রনিক্স?
কোম্পানির মুখপাত্র জানান—
“কর্মীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
সংস্থা আরও জানায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে তারা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কে জড়িত এই ঘটনায়?
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ওডিশার বাসিন্দা নীলু কুমারী গুপ্তা (২২)।
তিনি তার প্রেমিক সন্তোষ (২৫)–এর নির্দেশে ক্যামেরাটি ইনস্টল করেন। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্তোষকেও। জানা গেছে, ২ নভেম্বর ক্যামেরাটি বসানো হয়।
তদন্ত কী বলছে?
পুলিশের দাবি—
ক্যামেরাটি কোথায় রেকর্ড পাঠাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হস্টেলের অন্য কোথাও লুকোনো ক্যামেরা আছে কি না, সেটিও তল্লাশি চলছে।
মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাড়াতে।
১১ তলা এই কমপ্লেক্সে প্রায় ৬০০০ এর বেশি মহিলা কর্মী থাকেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
FAQ
1. প্রশ্ন: কোথায় গোপন ক্যামেরা উদ্ধার হয়েছে?
উত্তর: টাটা ইলেকট্রনিক্সের মহিলা হস্টেলের বাথরুমে।
2. প্রশ্ন: কোন জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে?
উত্তর: তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলায়।
3. প্রশ্ন: কারা প্রথম ক্যামেরা দেখতে পান?
উত্তর: হস্টেলের কয়েকজন মহিলা কর্মী।
4. প্রশ্ন: অভিযুক্ত কে?
উত্তর: নীলু কুমারী গুপ্তা এবং তার প্রেমিক সন্তোষ।
5. প্রশ্ন: নীলুর বাড়ি কোথায়?
উত্তর: ওড়িশা।
6. প্রশ্ন: সন্তোষ কোথা থেকে গ্রেফতার হয়েছে?
উত্তর: বেঙ্গালুরু থেকে।
7. প্রশ্ন: ক্যামেরাটি কবে ইনস্টল করা হয়?
উত্তর: ২ নভেম্বর।
8. প্রশ্ন: ক্যামেরার রেকর্ডিং কোথায় পাঠানো হচ্ছিল?
উত্তর: তা জানতে তদন্ত চলছে।
9. প্রশ্ন: ঘটনা জানার পর কোম্পানি কী করেছে?
উত্তর: সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছে এবং সহযোগিতা করছে।
10. প্রশ্ন: মহিলা কর্মীরা কী করেছেন?
উত্তর: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
11. প্রশ্ন: হস্টেলটির নাম কী?
উত্তর: বিদ্যাল রেসিডেন্সি।
12. প্রশ্ন: হস্টেলটি কত তলা?
উত্তর: ১১ তলা।
13. প্রশ্ন: কতজন মহিলা কর্মী সেখানে থাকেন?
উত্তর: প্রায় ৬০০০ জন।
14. প্রশ্ন: পুলিশ কি অন্য ক্যামেরা খুঁজছে?
উত্তর: হ্যাঁ, পুরো হস্টেল তল্লাশি চলছে।
15. প্রশ্ন: কে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন?
উত্তর: হোসুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আকৃতি শেঠি ও পুলিশ সুপার থাঙ্গাদুরাই।
16. প্রশ্ন: মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে।
17. প্রশ্ন: কোম্পানি কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে?
উত্তর: নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখার।
18. প্রশ্ন: ঘটনাটি কীভাবে সামনে আসে?
উত্তর: মহিলারা বাথরুমে সন্দেহজনক ডিভাইস দেখে।
19. প্রশ্ন: তদন্ত কি এখনও চলছে?
উত্তর: হ্যাঁ, তদন্ত চলমান।
20. প্রশ্ন: এই ঘটনার ফলে কী প্রভাব পড়েছে?
উত্তর: মহিলা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে, হস্টেলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
#TataElectronics #HiddenCameraCase #WomenSafety

