দশম শ্রেণীর ছাত্রের সঙ্গে ‘রোমান্টিক ফটোশুট’, ‘মা-ছেলের সম্পর্ক’, দাবি শিক্ষিকার

সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল কর্ণাটকের এক শিক্ষিকা এবং দশম শ্রেণির ছাত্রর কিছু ছবি। এই ছবিতে থাকা শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ার নাম কি তা প্রাথমিক ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি এই বিষয়ে ছবিতে থাকা শিক্ষিকা নিজেই মুখ খুললেন।

উল্লেখ যোগ্য বিষয় হল, ভাইরাল এই ছবিতে থাকা পড়ুয়ার বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ শিক্ষিকা সাসপেন্ড হয়েছেন। শিক্ষিকার নাম পুষ্পালতা। দাবি করা হয়েছিল, এক্সকারশনে গিয়ে এই ‘রোম্যান্টিক ফোটোশুট’ করা হয়েছিল।

সূত্র অনুযায়ী খবর, কর্ণাটকের মুরুগামল্লা চিক্কাবাল্লাপুর জেলায় একটি সরকারি স্কুলে পড়ান পুষ্পালতা। ছাত্রের সঙ্গে ‘রোম্যান্টিক ফোটোশুট’ নিয়ে শিক্ষিকা পুষ্পালতাকে প্রশ্ন করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। জবাবে নাকি পুষ্পালতা বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্ক মা-ছেলের মতো। সেটাই সেই ফোটোশুটে তুলে ধরা হয়েছিল।’ তবে এ সব ফোটোশুট ব্যক্তিগত রাখার কথা ছিল এমনটা দাবি করে পড়ুয়া এবং শিক্ষিকা উভয়েই। তাদের এ সব ব্যক্তিগত ছবিগুলো যে ঠিক কি ভাবে ভাইরাল হয়েছে, সেই বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

শিক্ষিকা ছাত্রের রোম্যান্টিক ফোটোশুট গুলির কোনো একটিতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রকে শিক্ষিকা জড়িয়ে ধোরে চুম্বন করছেন। তো আরেকটিতে দেখা গিয়েছে সেই পড়ুয়া শিক্ষিকাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছে। এমন ‘রোম্যান্টিক ফোটোশুট’ নিল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ভাইরাল হয়ে যায়।

পড়ুয়ার বাবা-মা এই ঘটনার ক্থা জানতে পেড়ে অসন্তুষ্ট হন। এর পর তাঁরা ঐ শিক্ষাকার বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেয়, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার পরই, ওই স্কুল পরিদর্শন করেন ব্লক শিক্ষা অফিসার ভি উমাদেবী। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। এর পর ওই স্কুলের তরফ থেকে সাসপেন্ড করা হয় শিক্ষিকাকে।

সূত্র অনুযায়ী আরও খবর, অমিত সিং রাজাওয়াত নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোটোশুটের ছবিগুলির কোলাজটি পোস্ট করেছিলেন। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সমাজ হিসাবে আমরা কোনদিকে এগোচ্ছি?

কর্ণাটকের মুরুগামল্লা চিক্কাবাল্লাপুর জেলায় একটি সরকারি স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রের রোমান্টিক ফটোশুটের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ফলে ছাত্রের অভিভাবকরা শিক্ষিকার এই ধরনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ছবি ঘিরে একাংশ নেটিজেন বলছেন উভয়কেই শাস্তি দেওয়া উচিত, তো আরেক অংশ নেটিজেন বলছে এতে কোনও ভুল খুঁজে পাননি তাঁরা।