আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন প্রতিবাদ করেছেন দিনের পর দিন তেমনই রাস্তায় নেমে মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। তার একটিই দাবি, আর জি কর হাসপাতালে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার বিচার চাওয়া। তবে তাকে নিয়ে তৃনমুলের তরফে নানান কটাক্ষ করা হয়। অভিনেত্রীকে নানানভাবে ট্রোল করা হয়। যদিও সেসব বিশেষ গায়ে মাখেন না।
সম্প্রতি তিনি একটি পেপারের কাটিং শেয়ার করেছেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। সেই পেপারে লেখা রয়েছে, “মধ্যপ্রদেশের ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচালো পোষা কুকুর।” এই ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা তাতে লেখেন, “আমি যত বেশি পুরুষদের দেখি, তত বেশি করে আমি আমার গড থুরি ডগকে ভালোবেসে ফেলি।” আর এরপর তিনি নাম জুড়েছেন, মার্ক টোয়েন মিত্র বলে। আসল উক্তিটি মার্ক টোয়েনের যাতে তিনি বলেছেন, “যত বেশি মানুষকে দেখি তত বেশি কুকুরকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।”
বিখ্যাত উক্তিটি শ্রীলেখা মানুষের জায়গায় পুরুষকে বসিয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি মালায়লাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে হ্যাশট্যাগ মিটু ঝড়। আর তা নিয়ে সরব হয়েছেন দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেত্রী। এবার তাতে গলা মেলালেন শ্রীলেখা মিত্র। ২০০৯ সালে তিনি রণজিৎ-এর হাতে যৌন হেনস্তার শিকার হন বলে জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২৬শে আগস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীলেখা।
২৫শে আগস্ট রণজিৎ কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। শ্রীলেখা জানান, সেইসময় তিনি কোচি গিয়েছিলেন। দক্ষিণের জনপ্রিয় পরিচালক রণজিৎ-এর পালেরি মানিক্যম ছবিতে কাজ করার জন্য। সেইসময় অভিনেত্রীকে হোটেলে ডাকা হয়। শ্রীলেখাকে ছবির বাকি প্রযোজক, কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে ডাকা হয়। এদিকে হোটেলে পৌঁছানোর পর রণজিৎ অভিনেত্রীর চুড়ি নিয়ে খেলতে শুরু করেন।
এরপর অভিনেত্রীর ঘাড়ে হাত দেন ও চুল সরিয়ে দেন। মহাবিপদ বুঝে অভিনেত্রী শ্রীলেখা সেখান থেকে কোনোমতে পালিয়ে আসেন। পরে জানিয়ে দেন তিনি এই ছবির কোনো কাজ করতে পরবেন না। আর এই ঘটনার পর ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে ২৫শে আগস্ট কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন রণজিৎ।
আরও পড়ুন,
*জোর করে চুমু কাওয়ার চেষ্টা! এবার হ্যাশট্যাগ মিটু মুভমেন্টে উত্তাল মালায়লাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি