‘মেলার গান’-এর পর এবার ‘পূজার গান’, গ্রাম্য সংস্কৃতি থেকে সমাজের অন্ধকার দিক, কী কী রয়েছে অনির্বাণ-দের নতুন গানে?

গানের দলে নাম লিখিয়েছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তার গানের ব্যান্ড ‘হুগলিগানিজম’ এখন সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছে। একের পর এক গান মুক্তি পেতেই শ্রোতাদের ভালোবাসা যেনো ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের। কিছুদিন আগে ‘মেলার গান’ ভাইরাল হয়েছিল। ছোটো থেকে বড় সকলেই এই গান পছন্দ করেছিলেন। এবার মুক্তি পেলো ‘পূজার গান’। আর সেই গানে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি ওতোপ্রোতো মিশে রয়েছে। অনির্বাণ যেনো সেই দিকেই খেয়াল রেখেছেন।

এবার পুজোর গানে পুরুলিয়ার প্রেক্ষাপটে হয়েছে শ্যুটিং। এই গানে গ্রাম্য সমাজকে ও সমাজের একাধিক দিক তুলে ধরা হয়েছে। ‘হুলিগানিজম’-এর নতুন গান ‘পূজার গান’ ইতিমধ্যে ভাইরাল। গানটিতে ‘হেই মা দুর্গা ইদিক আয়’ বলে গানটি শুরু হয়। গানের মধ্যে রয়েছে ছৌ নাচ, সাঁওতালি নাচ, রণপা নিয়ে হাঁটার মতো একাধিক বাংলার সংস্কৃতি। এই গানও যে মানুষ পছন্দ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

গানটি লিখেছেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শুভদীপ গুহ, গোপীনাথ মুর্মু। গানে গলা দিয়েছেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সুশ্রুত গোস্বামী, শুভদীপ গুহ, প্রীতম দেব, সোমেশ্বর ভট্টাচার্য, প্রীতম দাস, কৃষানু দাস, নীলাংশুক দত্ত ও দেবরাজ ভট্টাচার্য। ‘পূজার গান’-এ অনির্বাণরা গেয়েছেন “মোদের চারপাশেতে অনেক অসুর…..ধরছে টিপে গলার নলি”। এই গানও যে সমাজের বাইরে নয়, বরং সমাজকে নিয়েই এই গান তা বুঝিয়ে দিল ‘হুলিগানিজম’।

গোটা গান জুড়ে তিনটি ভাষার ব্যবহার হয়েছে। গান জুড়ে রয়েছে গ্রামবাংলার নানান চিত্র। গানে একটি কিশোরীকে দেবী দুর্গা ও নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে। দেবতা মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তা যেনো স্পষ্ট করে দিলেন অনির্বাণরা। অর্থাৎ অভিনয়ে না ফিরলেও তার গান দিয়ে যে তিনি সকলের ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য তা যেনো প্রমাণ করলেন তিনি।।

error: Content is protected !!