বিনোদন জগতে নক্ষেত্র পতন! প্রয়াত উৎপলেন্দু চক্রবর্তী

20240820 223736 5Iifgnvy6U

চারিদিকে বর্তমানে কলকাতার আরজি কর হসপিটালের কর্মকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা। এই সময় আমরা বাংলার এক বিখ্যাত পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে চিরদিনের মত হারিয়ে ফেলেছি অর্থাৎ আমাদের মাঝখান থেকে একটি আইকন চির বিদায় নিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় প্রয়াত হন উৎপলেন্দু স্যার।

১৯৪৮ সালে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী জন্মগ্রহণ করেন, তার ৭৮ বছরের যাত্রা শেষ হলো। পরিচালকের সহকারি অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ের থেকে জানা যায় সন্ধ্যাবেলা উৎপলেন্দু বাবু চাও খেয়েছিলেন, তারও ঠিক পরপরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।জানা গেছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

১৯৮২ সালে “চোখ” নামক একটি ছবির পরিচালনা করেন তিনি, সেই ছবিটিতে তিনি পুরস্কার প্রাপ্ত হন, তার এই ছবিতে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় ছবির পোস্টার এঁকেছিলেন।এছাড়াও ‘দেবশিশু’, ”প্রসব’ ‘চন্দ্রনীর’, ‘ময়না তদন্ত’ মত আরও অনেক সুন্দর সুন্দর চলচ্চিত্র তিনি আমাদের উপহার দেন। উৎপলেন্দু চক্রবর্তী এনএফডিসি-র স্বর্ণপদক ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত।

জানা গেছে গত এপ্রিল মাসে উৎপলেন্দু বাবু নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে ফেলেন, তারপর সেটি সঠিক চিকিৎসা করে ঠিক করা হয়। পরিচালকের যেহেতু বয়স অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল তার মাঝে সাঝেই স্মৃতিভ্রম হতো, শুধু তাই নয় তিনি সি ও পিডি ও প্রোস্টেট এর সমস্যায়ও ভোগেন, গত মে মাসে তিনি হসপিটালেও ভর্তি ছিলেন বেশ কিছুদিন, তিনি বেশ অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।

পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর স্ত্রীও একজন পরিচালিকা, তার নাম শতরূপা সান্যাল। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে, একজন চিত্রাঙ্গদা শতরূপা এবং অন্যজন রিতা ভরি চক্রবর্তী। রিতাভরী চক্রবর্তী বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। অন্যদিকে তাদের বড় মেয়ে শতরূপা বহু বছর ধরে তার স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। পরিচালক তার দুই মেয়েকে খুব ভালবাসতেন, সারাক্ষণ তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। এমনকি যেদিন তিনি প্রয়াত হন সেদিনও তার দুই মেয়ের সুনাম ও প্রশংসা করে গিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন,
*আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি সুপ্রিম কোর্টের