বিয়ে করলে বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষকেই করা উচিত! এমনটাই জানালেন শ্রীময়ী। হাজারো কটাক্ষ, সমালোচনা পার করে বর্তমানে সুখে সংসার করছেন তারা। যদিও এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না তাদের জন্য। কীভাবে সেসব অতিক্রম করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা? সম্প্রতি সেই তথ্য তুলে ধরেছেন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। গত ২রা মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তারা।
কাঞ্চনকে যখন প্রশ্ন করা হয় বিয়ের পর শ্রীময়ী কতটা বদলে গিয়েছেন? তার উত্তরে বলেন, ‘সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার পর থেকেই আলাদা লাগছে। মনে হচ্ছে যেন অন্য কোনো বৌদি।’ অন্যদিকে শ্রীময়ী আবার বলেন, ‘কী যে হয়েছে ওর! হঠাৎ করে দেখছি আমি কথা বলে যাচ্ছি হাঁ করে আমায় দেখছে। আসলে আমাদের বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে, তারপরে প্রেম।’
একইসাথে তাকে যখন বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষকে বিয়ে করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, ‘কাঞ্চন আইনত বিচ্ছেদ করেছে। এরম নয় যে একসাথে তিন-চারটে বিয়ে করে রেখেছে। একসাথে থাকতে না পারলে মানুষ সম্পর্ক থেকে দূরে আসে। দু’জনেই ভুল করে। যে ভুল সে দেখতে পেয়েছে তা আমার সাথে করবে না। তাই আমার মনে হয় বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষকেই বিয়ে করা উচিত।’
অন্যদিকে ছেলে ওশকে নিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘ছেলে মানুষ হোক। ওর শৈশবে যেন বার্ধক্য না আসে। ছেলের মুখে যেন ভারী কথা না বসিয়ে দেওয়া হয়। ওর প্রাণবন্ত শৈশব।’ এরপরে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি ছেলেকে দেখতে যান না কেন? তখন কাঞ্চন বলেন, ‘অপরপক্ষের অনুমতি মেলেনি। সে বলেছে বাড়িতে গিয়ে দেখতে হবে নয়তো আদালতে।’
অভিনেতার কথায় তিনি বাবা হয়ে ছেলেকে আদালতে টেনে আনতে চাননি। একইসাথে এও উল্লেখ করেন যে তিনি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু অর্থ দিয়েছেন। সাথে তিনি পিঙ্কির পুরনো সাক্ষাৎকার নিয়ে কথা তুলেছেন। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন তার বাবা যখন নাতিকে দেখতে চেয়েছিলেন তখন নাকি পিঙ্কি দেখা করতে দেননি।