বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত নানা বিস্ময়কর আবিষ্কার ঘটে চলেছে। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ স্পেনের এক গুহায় যা পাওয়া গেছে, তা বিজ্ঞানীদেরও চমকে দিয়েছে। পাইরেনিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইকোলজির একদল গবেষক সেখানে অভিযানে গিয়ে একটি শকুনের বাসা থেকে খুঁজে পান প্রায় ৬৫০ থেকে ৬৯৬ বছরের পুরনো এক জুতো। আশ্চর্যের বিষয়, এত পুরনো হওয়া সত্ত্বেও জুতোটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

গবেষকরা জানান, গুহার শীতল ও শুষ্ক পরিবেশের কারণে জুতোটি পচে যায়নি। শকুনরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই স্থানে বাসা বাঁধায়, ফলে এই নিদর্শনটি অক্ষতই থেকে গেছে। ঘাস ও ডালপালা দিয়ে তৈরি এই জুতো শুধু প্রাচীন কারুশিল্পের নিদর্শন নয়, মানবসভ্যতার ইতিহাসেও এটি এক মূল্যবান সংযোজন।

রেডিও কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জুতোটির বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একই গুহা থেকে তাঁরা এক ডজনেরও বেশি শকুনের বাসা ও নানা প্রাচীন সামগ্রী, যেমন জামাকাপড়, গুলতি, প্রাণীর হাড় এবং ভেড়ার পশম উদ্ধার করেছেন। তাঁদের মতে, এই গুহাটি যেন একটি প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক জাদুঘর, যা সময়ের আবরণে ঢাকা এক বিস্মৃত মানবজীবনের নিঃশব্দ সাক্ষী।
ভিত্তিতে ৫টি প্রশ্ন ও তাদের উত্তর দেওয়া হলো
প্রশ্ন ১: কোথায় পাওয়া গেছে প্রাচীন জুতোটিটি?
উত্তর: দক্ষিণ স্পেনের এক গুহায় পাওয়া গেছে প্রাচীন জুতোটিটি।
প্রশ্ন ২: জুতোটির বয়স কত বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে?
উত্তর: জুতোটির বয়স আনুমানিক ৬৫০ থেকে ৬৯৬ বছরের মধ্যে।
প্রশ্ন ৩: জুতোটিটি কীভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় ছিল?
উত্তর: গুহার শীতল ও শুষ্ক বাতাসের কারণে জুতোটিটি পচে না গিয়ে অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।
প্রশ্ন ৪: জুতোটির সঙ্গে বিজ্ঞানীরা আর কী কী বস্তু পেয়েছেন?
উত্তর: তাঁরা গুলতি, প্রাণীর হাড়, ভেড়ার পশম এবং জামাকাপড়সহ নানা জিনিস পেয়েছেন।
প্রশ্ন ৫: বিজ্ঞানীরা গুহাটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
উত্তর: বিজ্ঞানীরা গুহাটিকে একটি প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক জাদুঘর হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।