অবশেষে দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন সিপি রাধাকৃষ্ণন। জগদীপ ধনকরের পর তিনি উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তাকে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন NDA-এর তরফে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রার্থী করেছিল সুদর্শন রেড্ডিকে। গতকাল মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সেই নির্বাচনে জিতেছেন NDA প্রার্থী সিপি রাধকৃষ্ণন। মোট ৭৬৮টি ভোটের মধ্যে ৪৪২টি ভোট পেয়েছেন সিপি রাধকৃষ্ণন।
আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর তিনি শপথ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। ৭৬৮টি ভোটের মধ্যে সিপি রাধকৃষ্ণন ৪৪২টি ভোট পেয়েছেন। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে সকলেই সুদর্শন রেড্ডিকে ভোট দেননি। যদিও এই নির্বাচন থেকে তিনটি দল নিজেদের বিরত রেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে বিজু জনতা দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং শিরোমণি অকালি দল। BRS-এর চার সাংসদ, BJD-র সাত সাংসদ ও SAD-এর এক সাংসদ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেননি।
আরও পড়ুন,
‘দোলনা বিছানা’য় ঘনিষ্ঠ আবীর চট্টোপাধ্যায়-মিমি চক্রবর্তী!
নির্বাচনের ৭৮১টি ভোটের মধ্যে ৩৯১টি ভোট পেলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব। অর্থাৎ NDA প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন তার নির্বাচনে জয়ী হওয়া ভোটের সংখ্যা থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন তা স্পষ্ট। এদিন মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন NDA পোলিং এজেন্ট ছিলেন রামমোহন নায়ডু, কিরেণ রিজিজু ও শ্রীকান্ত শিন্ডে। অপরদিকে INDIA জোটের পোলিং এজেন্ট ছিলেন শতাব্দী রায়, সৈয়দ নাসির হুসেন ও মণিকম টেগোর।
আরও পড়ুন,
মেয়ের প্রথম জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানিয়ে খাওয়ালেন দীপিকা! ভাগ করে নিলেন বিশেষ ছবি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে উপরাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন জগদীপ ধনকর। আচমকা তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। যদিও এটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কম চর্চা হয়নি। তার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই বছর বাকি ছিল। কী ঘটল যে কারণে রাতরাতি তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন? যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে ৬৮ বছর বয়সি সিপি রাধাকৃষ্ণন দুইবারের লোকসভা সাংসদ। এর পাশাপাশি তিনি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল। অপরদিকে বিরোধী প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।