পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তরবঙ্গে হাজির মমতা, ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লক্ষ টাকা ও চাকরির সাহায্যের কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

শনিবার একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। ধস নামার ফলে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ পরিস্থিতি এবার খতিয়ে দেখতে সোমবার পাহাড়ে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সোমবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে তিনি নিজের বক্তব্য সকলের সামনে রাখেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে অভিযোগ করেছেন। এর পাশাপাশি মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ায় তিনি ডিভিসি-কেও এদিন দায়ী করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে তার কাছে। তার মধ্যে ১৮ জন কালিম্পং-এ এবং বাকিরা নাগরাকাটায়। এদিন মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্যের কথাও বলেন মমতা।

তিনি উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে বলেন, “টাকা কখনও জীবনের বিকল্প হতে পারে না। এটা আমাদের তরফ থেকে সামান্য সামাজিক কর্তব্য। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। পরিবারের এক জনকে দেওয়া হবে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি। যাতে তাদের কাউকে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়।” মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন বলে জানান।

যতদূর সম্ভব যাওয়া যায় তিনি যাবেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মিরিকে। সেখানেও যাবেন মমতা। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। শনিবার রাত থেকে একনাগাড়ে বৃষ্টিতে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকালে কন্ট্রোল রুম থেকে সেসব পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন মমতা। গতকাল রবিবার ছিল কলকাতায় দুর্গা পুজোর কার্নিভাল। সেসব মিটিয়ে অবশেষে সোমবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে পৌঁছেলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বলেন, “দুর্গাপুজোয় কোটি কোটি মানুষ কলকাতায় এসেছেন। ক্লাব কমিটিগুলি ভাল কাজ করেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে সবটা সম্পন্ন হয়েছে। তার জন্য ওদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি কিছু দিন আগে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলাম। আজ লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে পুজো হয়। তা সত্ত্বেও আমাকে যেতে হচ্ছে। উৎসব তো বড় নয়, মানবিকতাই বড় কথা।”

error: Content is protected !!