রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও ঘি যে ত্বকের যত্নে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে, তা অনেকেই জানেন না। সাম্প্রতিক সময়ে কমবয়সিদের মধ্যে ঘি দিয়ে রূপচর্চা করার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। কেমিক্যালসমৃদ্ধ দামি ক্রিম বা বাজারচলতি প্যাক বাদ দিয়ে অনেকে এখন ঘরেই ঘি দিয়ে তৈরি করছেন প্রাকৃতিক স্কিনকেয়ার রুটিন। ভিটামিন এ, ডি ও ই-সমৃদ্ধ ঘি ত্বককে পুষ্টি জোগায়, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ঘি হতে পারে কার্যকর ‘অ্যান্টি-এজিং’ উপাদান।
ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে ঘি
খাঁটি ঘি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। রাতে শোয়ার আগে ২-৩ ফোঁটা ঘি মুখে নিয়ে বৃত্তাকার গতিতে মালিশ করলে রুক্ষতা কমে, ত্বক নরম হয় এবং সকালে দেখা যায় একটি স্বাভাবিক জেল্লা। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে ঘি বিশেষভাবে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী।
চোখের নীচের কালি দূরীকরণে ঘি
চোখের তলার কালি এখন অনেকেরই সমস্যা। ঘি ও গোলাপ জলের মিশ্রণ নিয়মিত চোখের তলায় লাগালে তা ধীরে ধীরে কালোভাব কমাতে সাহায্য করে। সারা রাত রেখে দিলে ফল আরও ভালো দেখা যায়। ঘির পুষ্টিগুণ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে, আর গোলাপ জল সেই অংশকে শীতলতা দেয়।
র্যাশ ও ব্রণ কমাতে ঘি
ঘি শুধু ময়েশ্চারাইজ়ার নয়, এটি একটি ভালো স্ক্রাবের কাজও করে। ঘি, চিনি, লেবুর রস, হলুদ ও অল্প বেকিং সোডা মিশিয়ে তৈরি স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এতে রন্ধ্র পরিষ্কার থাকে, ফলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা অনেকটাই কমে।
ফেসপ্যাক হিসেবে ঘি
অর্ধেক চামচ ঘির সঙ্গে বেসন ও সামান্য দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক ত্বকের দাগছোপ, বলিরেখা ও নিষ্প্রভভাব দূর করতে কার্যকর। স্নানের আগে এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে দৃশ্যমান পরিবর্তন পাওয়া যায়।
ঘি শুধু রান্নাঘরের একটি উপকরণই নয়, এটি হতে পারে আপনার স্কিনকেয়ারের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। নিয়মিত ও সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ঘি ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে এনে কমিয়ে দিতে পারে বয়সের ছাপ। প্রাকৃতিক যত্ন পেতে চাইলে আজ থেকেই ঘি ব্যবহার করে দেখুন।
আরও পড়ুন,
শীতে হাঁচির সঙ্গে নাক থেকে রক্তপাত: কেন হয়, সাধারণ সমস্যা নাকি সতর্ক সংকেত?
