সপ্তাহজুড়ে ওঠানামার পর শনিবার দেশের মূল্যবান ধাতুর বাজারে দেখা গেল বিপরীতমুখী পরিবর্তন। সোনা যেখানে সামান্য কমেছে, সেখানে রুপোর দাম বেড়েছে। যদিও উভয় ধাতুর ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের অঙ্ক খুব বড় নয়, তবে নভেম্বরের শুরু থেকে ধারাবাহিক বৃদ্ধি অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের তুলনায় সোনা ও রুপোর সামগ্রিক দরে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এনে দিয়েছে।
সোনার দর কমলো কত?

শনিবার ২৪ ক্যারাটের পাকা সোনার প্রতি ১০ গ্রামে দাম কমেছে ৫৫০ টাকা। ২২ ক্যারাটের হলমার্কযুক্ত গয়না সোনার দর কমেছে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের মাঝামাঝি কয়েক দিন দামে ওঠানামা থাকার পরও সপ্তাহান্তে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন সোনা ক্রেতারা।
শনিবার কলকাতার বাজারে সোনার দর (কর বাদে) ছিল—
* পাকা সোনা বার (২৪ ক্যারাট): ১,২৮,৪০০ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম)
* পাকা সোনা বার (খুচরো): ১,২৯,০৫০ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম)
* হলমার্কযুক্ত গয়না সোনা (২২ ক্যারাট): ১,২২,৬৫০ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম)
রুপোর দর বেড়ে কত হলো?
সোনার বিপরীতে রুপোর দরে দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী ধারা। প্রতি কেজি রুপোর দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা। বর্তমানে কলকাতার বাজারে খুচরো রুপোর মূল্য—
১,৭৯,৪৫০ টাকা (প্রতি কেজি)
নভেম্বরের শুরু থেকেই রুপোর দামে ধারাবাহিক বৃদ্ধি ছিল, সপ্তাহান্তের এই বৃদ্ধি সেই ধারারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন
মাত্র ১ টাকায় ১০ একর জমি! কীভাবে আবেদন করবেন?— সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়া
বাজারে গিয়ে এত কম দামে সোনা-রুপো পাওয়া যাবে?
এই দামগুলি মূলত WBBMJA প্রকাশিত বেসিক মার্কেট রেট। তবে খুচরো বাজারে গ্রাহককে এই দরে সোনা বা রুপো কিনতে পারবেন না। কারণ—
সোনায় ৩% জিএসটি যুক্ত হবে
গয়না তৈরি করাতে মেকিং চার্জ (মজুরি) যুক্ত হবে
বিভিন্ন বিপণি বা দোকানে মেকিং চার্জ আলাদা হওয়ায় চূড়ান্ত দাম আরও বাড়তে পারে
অতএব, বাজারে সোনা বা রুপো কিনতে গেলে প্রকাশিত দরের তুলনায় কিছুটা বেশি খরচ পড়বে ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন
২০২৬ সালে সোনার দাম ৩০% পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা
উপসংহার
সপ্তাহান্তে ধাতুর বাজারে সোনার দাম কমা এবং রুপোর দাম বেড়ে যাওয়ার এই বিপরীতমুখী প্রবণতা বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা এবং স্থানীয় চাহিদা-সরবরাহ পরিস্থিতিরই প্রতিফলন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। উৎসবের মরসুমের পরে এই ধাতুর দামের পরিবর্তন বাজারে নতুন চাহিদার পরিবেশ তৈরি করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
২০২৬-এ সোনার দাম কোথায় যাবে? ফেডের সুদনীতি ও বাজার বিশ্লেষণে বড় পূর্বাভাস