প্রতিদিনই সোনার দামে কখনও ঊর্ধ্বগতি, কখনও বা নিম্নগতি—এই ওঠানামাই এখন বাজারের স্বাভাবিক চিত্র। তবে দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে বিচার করলে, সোনার দাম যে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। পঁচিশ বছর আগে, অর্থাৎ ২০০০ সালে, যেখানে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল মাত্র ৪,৪০০ টাকা, সেখানে আজ সেই দাম বহু আগেই এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০০ থেকে ২০২৫—এই সময়ের মধ্যে সোনায় বিনিয়োগ যারা করেছেন, তারা উল্লেখযোগ্য রিটার্ন পেয়েছেন। ভবিষ্যতেও সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবেই দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে ভারতে সোনা শুধুই বিনিয়োগ নয়, এটি আবেগ, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিয়ে, উৎসব বা বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনার গয়নার গুরুত্ব আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
শনিবার সকালে সোনা ও রুপোর দর (১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫)
(দাম ৩% GST ছাড়া)
১ গ্রাম সোনা:
২৪ ক্যারেট (Fine Gold 995): ₹১৩,১৬৫
২২ ক্যারেট (কিনতে গেলে): ₹১২,৫০৫
২২ ক্যারেট (বেচতে গেলে): ₹১১,৯৮০
১৮ ক্যারেট: ₹১০,২৭০
রুপো:
১ কেজি (৯৯৯): ₹১,৮৯,৩২০
আরও পড়ুন
জানুয়ারিতে সরকারি কর্মীদের টানা ছুটির বন্যা! দুই দফায় মিলছে ১০ দিনের ছুটি
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহশেষে সাধারণত চাহিদা কিছুটা বাড়ে, বিশেষ করে বিয়ের মরশুমে। তাই যারা সোনা কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য আজকের রেট জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় ১৯৯৩ সালে গঠিত হয় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। বর্তমানে এই সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে। সংগঠনটি রাজ্যজুড়ে স্বর্ণশিল্পের বিভিন্ন সমস্যায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
সব মিলিয়ে, সোনা আজও শুধু দামের হিসেবে নয়, বরং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ও পারিবারিক প্রয়োজনের দিক থেকেও ভারতীয়দের কাছে এক অমূল্য সম্পদ। তাই সোনা কেনা বা বিক্রির আগে দিনের বাজারদর দেখে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন
রেপো রেট কমার প্রভাব: এসবিআই ও আইওবির ঋণে সুদ কমায় গ্রাহকদের স্বস্তি